এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নির্বাচনে রাজ্যে গেরুয়া ঝড় তুলতে বিশেষ পরিকল্পনা বিজেপির, ব্যাকফুটে তৃণমূল

নির্বাচনে রাজ্যে গেরুয়া ঝড় তুলতে বিশেষ পরিকল্পনা বিজেপির, ব্যাকফুটে তৃণমূল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ যে কোন সময় ঘোষিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যে কোন সময় আদর্শ নির্বাচনী বিধি কার্যকরী হবার সম্ভাবনা আছে। এই পর্যায়ে একেবারে তুঙ্গে চলছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মসনদ দখলে তৎপর হয়ে উঠেছে বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে নিজের শক্তি বাড়িয়ে রাজ্যের রাজনীতিতে নিজেদের ক্রমাগত প্রাসঙ্গিক করে তুলছে বিজেপি। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে গেরুয়া ঝড় তুলতে ও বিজেপির সংগঠনকে আরো মজবুত করে তুলতে আরও কয়েকজন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব আসতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গে।

আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ইতিপূর্বে বেশ কিছু কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব এসেছেন রাজ্যে। লড়াই কঠিন হওয়ার ফলে শুধুমাত্র রাজ্য নেতৃত্তের উপর ভরসা না রেখে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও পাঠানো হয়েছে রাজ্যে। বিজেপির যেসমস্ত কেন্দ্রীয় নেতা নির্বাচনে ইতিপূর্বে লড়াই করেছেন, অভূতপূর্ব সাফল্য এনে দিয়েছেন, নির্বাচনের সময় সাংগঠনিক কাজ দেখভাল ও কাজের বিরাট অভিজ্ঞতা আছে, তারাই আসবেন রাজ্যে। আবার সম্প্রতি রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতিপূর্বে কয়েকজন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা রাজ্যে বিজেপির সংগঠনের দায়িত্ব নিয়েছেন।

এবার রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সংখ্যা আরও বাড়াতে চলেছে বিজেপি। বিজেপির এই পদক্ষেপ সম্পর্কে বিজেপির আইটি সেলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত মালব্য জানালেন যে, ইতিপূর্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলির মন্ত্রীদের পশ্চিমবঙ্গে ৫টি থেকে ৬টি করে লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। বিজেপির অনেক নেতারই নির্বাচনে লড়াই বা দলীয় কর্মীদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। তাঁদের এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর মধ্যে কোন ভুল নেই। প্রবীণ বিজেপি নেতাদের অভিজ্ঞতাকে পশ্চিমবঙ্গের আগামী বিধানসভা নির্বাচনের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে বিজেপিকে বারবার বহিরাগতের দল বলে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যদি বারবার রাজ্যে আসেন, তবে বহিরাগত ইস্যুতে প্রচারের সুযোগ পেয়ে যেতে পারে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল, এটাও মনে করছেন। অনেকে মনে করছেন, এর ফলে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারের বড়সড় হাতিয়ার পেয়ে যেতে পারে তৃণমূল।

তবে, এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা অমিত মালব্য জানালেন যে, রাজ্যের মানুষ মনস্থির করেই নিয়েছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাচ্ছেন, আসছে বিজেপি। মানুষ যখন একটি সরকারের বিরুদ্ধে এরকম লাইন ব্যবহার করতে শুরু করে, তার মানে সে সরকার মানুষের সমর্থন হারিয়ে ফেলেছে। প্রসঙ্গত, বিজেপিকে বারবার বহিরাগতের দল ও অবাঙালির দল বলে প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তবে, এতে জনমানসে কতটা প্রভাব পড়বে? তার উত্তর পেতে গেলে অপেক্ষা করতে হবে নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্ত।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!