এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নির্বাচন শেষ হতেই ফের নির্বাচন বাংলায়, ক্ষমতায় আসার তৃণমূলের দাবি ঘিরে জল্পনা!

নির্বাচন শেষ হতেই ফের নির্বাচন বাংলায়, ক্ষমতায় আসার তৃণমূলের দাবি ঘিরে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সদ্য তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে করোনা পরিস্থিতি যখন কিছুটা সামাল দেওয়া গিয়েছিল, তখন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কারণে করতে শুরু করেছিল এই করোনা ভাইরাস। যার জেরে নির্বাচনী প্রচারে এই করোনা ভাইরাস বৃদ্ধির জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলকে, আবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপিকে দায়ী করা হয়েছিল। পরবর্তীতে নির্বাচন পর্ব সম্পন্ন হওয়ার পর এই করোনা ভাইরাসের পায়ে লাগাম পড়ানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে এই করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ কারণ করার কারণে সদ্য সমাপ্ত হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের দুই বিধানসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থীরা এই অতিমারি রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছিলেন। যার কারণে সেই বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই করার জন্য বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।

সেদিক থেকে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। অন্যদিকে খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন পর্ব সম্পন্ন হওয়ার পর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা। তবে ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগেই এই অতিমারি রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তিনি। তবে ফলাফলে দেখা যায়, তিনিই জয়ী হয়েছেন। কিন্তু এই বিধানসভা কেন্দ্র এখন শূন্য। তাই সেখানেও উপনির্বাচন হওয়ার কথা।

একইভাবে শান্তিপুর এবং দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীরা জয়লাভ করলেও, তারা সাংসদ পদে থাকবেন বলে বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়েছেন। যার জেরে এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হবে। সব মিলিয়ে মোটের ওপর রাজ্যের ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্র উপনির্বাচন হবে। তবে দ্রুত যাতে সেই নির্বাচন করা হয়, তার জন্য এবার দাবি জানাতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে বেশ কিছু আশঙ্কা কাজ করছে শাসকদলের অন্দরমহলে।

তাই তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরেই এই সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে জয় পেতে এবার দ্রুত সেখানকার নির্বাচন করার দাবি জানাতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের ঘনিষ্ঠমহলের একাংশ দাবি করছেন, বর্তমানে নির্বাচন হলে এই সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে শাসক দলের জয় নিশ্চিত। তাই করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করার আগেই সেখানে নির্বাচন যাতে হয়ে যায়, তার জন্য তৎপরতা গ্রহণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

তবে অনেকের আবার আশঙ্কা, যেহেতু এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফলাফল করতে পারেনি, তাই তারা এই নির্বাচনে করোনা ভাইরাসকে শিখন্ডী করে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু তা যাতে না হয়, তার জন্যই এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে দ্রুত নির্বাচন করার দাবি জানানো হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ শাসকদলের পক্ষ থেকে চেষ্টার শেষ নেই। কেননা এই বিধানসভা উপনির্বাচন পর্ব মিটে গেলেই রাজ্যের একাধিক পৌরসভার নির্বাচন রয়েছে। ফলে সেই পৌরসভায় ভালো ফলাফল করার আগে অ্যাসিড টেস্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসার পরেই এই বিধানসভা উপনির্বাচন শাসকদলের কাছে লক্ষণীয় বিষয়। তাই দ্রুত সেই নির্বাচন করার দাবি জানাতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

পর্যবেক্ষকদের দাবি, শুধু রাজ্যের বিধানসভা উপনির্বাচন নয়। বেশ কিছু রাজ্যসভার সাংসদেরও আসন শূন্য হয়ে রয়েছে। সেদিক থেকে সেই জায়গাতে যাতে দ্রুত নির্বাচন করানো যায়, তার জন্য দাবি তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক শুখেন্দুশেখর রায়। এদিন তিনি বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে রাজ্যসভার ভোট করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির এখন কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে। আরেকটু ভালো হলে ভোটপর্ব সেরে ফেলা ভালো।”

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন এবং রাজ্যসভায় শূন্য হয়ে যাওয়া আসনের নির্বাচনের জন্য দ্রুত কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। অর্থাৎ আগেভাগেই নিজেদের সুবিধার জন্য যাতে নির্বাচন করানো যায় এবং করোনা পরিস্থিতির জন্য যাতে তা কোনোভাবেই আটকে না যায়, তার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে তৎপর ঘাসফুল শিবির। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!