প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে জারি হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। স্বাভাবিক ভাবেই এখন নির্বাচন কমিশনের আওতায় রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। আর এই পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা যাতে কোনোভাবেই নষ্ট না হয়, তার জন্য স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার পরেও বুধবার রাত থেকে বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার হতে শুরু করল আগ্নেয়াস্ত্র।

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা এখন প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। জানা গেছে, বুধবার রাতে দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙরের এক সিপিএম কর্মীর বাড়ি থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকালে মালদহের বৈষ্ণবনগর এলাকায় বেশ কিছু তাজা বোমা উদ্ধার হতে দেখা গেছে।জানা গেছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার ভাঙ্গড়ের চন্ডিহাট এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। যেখানে চন্ডীহাটের সিপিএম কর্মী অলি মহম্মদ মোল্লার বাড়ি থেকে পাইপগান, গুলি, লোহার রড সহ বেশকিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আর এরপরই সেই সিপিএম নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকালে মালদহের বৈষ্ণবনগর এলাকায় প্লাস্টিকের বলের মতো দেখতে কয়েকটি জিনিস চোখে পড়ে সাধারণ মানুষের। আর তার পরেই তারা বুঝতে পারে, সেগুলো তাজা বোমা। স্বাভাবিকভাবেই একসাথে 25 থেকে 30 টি বোমা দেখে রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আর এর পরেই পুলিশ প্রশাসনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তা পরীক্ষা করে দেখেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকা জুড়ে।

একাংশ বলছেন, ভোটের মুখে এই ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি চলছে। কিন্তু তার পরেও যেভাবে অস্ত্র উদ্ধার হতে দেখা যাচ্ছে, তাতে নির্বাচনের আগের পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। দ্রুত মানুষের মনে স্বস্তি ফেরাতে এইসব ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন সকলে। সব মিলিয়ে রাজ্যের দুই প্রান্ত থেকে অস্ত্র এবং বোমা উদ্ধারের ঘটনা রীতিমত আলোড়ন ফেলে দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।