এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নির্বাচনের মরসুমে মমতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ, কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি!

নির্বাচনের মরসুমে মমতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ, কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের দামামা বাজার পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। একের পর এক সভা থেকে একে অপরকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীরা। এক্ষেত্রে বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে কখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আবার কখনও বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করতে গিয়ে বাঁধ ভেঙেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়ে গেলেও একজন জনপ্রতিনিধি তথা প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কেন এই ধরনের মন্তব্য করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তাই এই বিষয়টি তুলে ধরেই এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে গেরুয়া শিবির। স্বাভাবিক ভাবেই এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের একটি জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, “নরেন্দ্র মোদী সরকার অপদার্থ, দাঙ্গাবাজ এবং দুর্নীতি পরায়নদের সরকার।” এমনকি তিনি নরেন্দ্র মোদীর মুখ দেখতে চান না বলেও সেই সভায় দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। স্বাভাবিক ভাবেই নরেন্দ্র মোদী শুধুমাত্র বিজেপি নেতা নন, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী।

তাই তাকে এইভাবে কেন আক্রমণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির। এদিন এই ব্যাপারে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে একটি চিঠি লেখা হয়। যেখানে বিজেপি নেতা তথাগত রায়, অর্জুন সিংহ এবং শিশির বাজোরিয়া নির্বাচন কমিশনের কাছে এই চিঠি লিখেছেন বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সমস্ত বক্তব্য পুরোপুরি মিথ্যে। একজন মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও দেশের অন্যান্য মন্ত্রীদের সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণবিধির পরিপন্থী। সেখানে স্পষ্ট ভাষায় বলে দেওয়া হয়েছে, কারও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আক্রমণ করা যাবে না। তাই এই ধরনের মন্তব্যে যদি এখন থেকেই রাশ টানা না যায়, তাহলে নির্বাচনের পরিবেশ অনেকটাই কলুষিত হতে পারে।

স্বাভাবিক ভাবেই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে আপত্তি জানিয়ে যেভাবে কমিশনের কাছে চিঠি দেওয়া হল, তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব যে যথেষ্ট চাপে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বলা বাহুল্য, এর আগে লোকসভা নির্বাচনের সময়ও প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বেশকিছু মন্তব্য করে বিতর্কে শিরোনামে চলে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এবার বিধানসভা নির্বাচনে যখন প্রধান লড়াই হতে চলেছে বিজেপির সঙ্গে, তখন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ কিছু বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হলেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। স্বাভাবিক ভাবেই এই গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার কমিশনের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!