এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নির্বাচনের পূর্বে বড়োসড়ো বিপাকে পড়তে পারেন হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ, ঘুম উড়ছে শাসক দলের

নির্বাচনের পূর্বে বড়োসড়ো বিপাকে পড়তে পারেন হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ, ঘুম উড়ছে শাসক দলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল সংসদে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে দেশের বিচারব্যবস্থা, দেশের সংবাদমাধ্যমকে তীব্রভাবে কটাক্ষ করেছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রথম প্রধান বিচারপতিকেও তিনি তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি জানিয়েছিলেন যে, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে ঘৃণা ও প্রতিশোধ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিস আনতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সাংসদ বড়োসড়ো বিপাকে পড়তে পারেন এই হেভিওয়েট সাংসদ সহ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপরে ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাব বিষয়ে আলোচনা চলছিল। এ সময় কেন্দ্রীয় সরকারকে তীক্ষ্ণ ভাষায় কটাক্ষ করেছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি জানিয়েছিলেন যে, দেশের দুর্ভাগ্য হলো যে শুধু দেশের সরকার নয় বিচার ব্যবস্থা ও সংবাদমাধ্যমের মতো গণতন্ত্রর অন্যান্য স্তম্ভগুলোও ব্যর্থ হয়ে পড়েছে। বিচারব্যবস্থার পবিত্রতা নষ্ট হয়ে গেছে।

এরপর তিনি জানিয়েছিলেন যে, যেদিন দেশের প্রধান বিচারপতি নিজের পদে থাকার সময় যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত হয়ে নিজেই নিজের বিচার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ও নিজেকে নির্দোষ বলে প্রমাণিত করে অবসরের তিন মাসের মধ্যে জেড প্লাস নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মনোনীত হন, সেদিনই বিচারব্যবস্থা তার পবিত্রতা হারিয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূল সাংসদ আরও জানান যে, সংবিধানের মূল ভিত্তি গুলিকে রক্ষা করার সুযোগ পেয়েও যখন বিচার ব্যবস্থা সেটা করেনি, তখনও বিচারব্যবস্থার পবিত্রতা নষ্ট হয়ে গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সাংসদ মহুয়া মৈত্র এই বক্তব্য রাখার সময়েই সংসদে বিরাট শোরগোল পড়ে যায়। তাঁর বক্তব্য সংসদের কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তোলেন একাধিক বিজেপি সাংসদ। এমনকি আরএসপি সাংসদ এন কে প্রেমচন্দ্রনও জানান যে, তাঁর এই বক্তব্য যদি অপত্তিকর বলে প্রমাণিত হয়, তবে তা সংসদের কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হবে। তবে, দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের দাবি, মহুয়া মৈত্র তাঁর বক্তব্যে কারও নাম নেন নি।

গতকাল মহুয়া মৈত্র বক্তব্য রাখার সময়ই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল ও বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে তাঁর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। তাঁরা জানিয়েছেন যে, পূর্বে নোটিশ না দিয়ে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে সংসদে এভাবে কখনোই আলোচনা করা যায় না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল জানান যে, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে তাঁর এই বক্তব্য লজ্জাজনক।

তবে, শেষ পর্যন্ত অধ্যক্ষ মহুয়া মৈত্রকে বক্তব্য রাখার অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে কোনো রকম মন্তব্য করতে নিষেধ করেছিলেন। এবার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিস আনার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে বিপাকে পড়তে পারেন তৃণমূল সাংসদ। ইতিমধ্যে একাধিকবার আপত্তিকর বক্তব্য রাখার অভিযোগ উঠেছিল এই সাংসদের বিরুদ্ধে। সংবাদমাধ্যমকেও আক্রমণ করেছিলেন তিনি ‘দু পয়সার সাংবাদিক’ বলে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!