এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > নির্বাচনী প্রচার নিয়ে কড়া নির্দেশিকা মোদী-শাহের, ঘুম উড়তে চলেছে গেরুয়া প্রার্থীদের!

নির্বাচনী প্রচার নিয়ে কড়া নির্দেশিকা মোদী-শাহের, ঘুম উড়তে চলেছে গেরুয়া প্রার্থীদের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট ইতিমধ্যেই পাঁচ দফায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। বাকি রয়েছে আরও তিন দফার নির্বাচন। আর তার মাঝেই বাংলার বিজেপি প্রার্থীদের কাছে এল বড়সড়ো নির্দেশ। জানা গেছে, সম্প্রতি প্রার্থীদের খরচ নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য নেতাদের একটি নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যেখানে অনেক প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অযথা খরচ করার অভিযোগ জমা পড়েছে।

আবার অনেকে দলের দেওয়া টাকা প্রচারের কাজে পুরোটা লাগাচ্ছেন না বলে খবর পাওয়া গেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে অর্থের অপচয় যাতে না করা হয়, তার জন্য রাজ্য নেতৃত্বকে কড়া নির্দেশ দিলেন অমিত শাহ। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরের অনেক প্রার্থীর কাছেই যে তা বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, ইতিমধ্যেই অমিত শাহ নির্দেশ দিয়েছেন, কমিশনের ঠিক করে দেওয়া নিয়মের বাইরে খরচ একেবারেই করা যাবে না। এমনকি কোথাও যেন অর্থের অপচয় না করা হয়, সেই দিকটি দেখার জন্য রাজ্য নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারে প্রথম থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে অর্থবলের অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে জনসভায় লোক করতে টাকা খরচ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছে দেখা গেছে তাকে।

আর এই পরিস্থিতিতে অমিত শাহের রাজ্য নেতাদের দলীয় প্রার্থীদের ঠিকমত অর্থ খরচ করার নির্দেশ দেওয়ায় রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির এক নেতা বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্পষ্ট বলেছে যে রাস্তা গাড়িতে যাওয়া সম্ভব, সেখানে অযথা হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যাবে না। একান্ত হেলিকপ্টার নিলেও এমন জায়গায় নামতে হবে, যাতে গাড়িতে করেই সব কর্মসূচি মিটিয়ে ফেলা যায়। অমিত শাহ নিজের ক্ষেত্রেও সেই নীতি মানছেন।”

বলা বাহুল্য, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী একজন বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী প্রচারে সর্বাধিক 30 লক্ষ 88 হাজার টাকা খরচ করতে পারেন। সেদিক থেকে প্রার্থীরা নিয়ম মেনে খরচ করছেন কিনা, তার জন্য একজন অবজার্ভার নিয়োগ করেছে কমিশন। তারাই সমস্ত দিক দেখভাল করছেন। আর এই পরিস্থিতিতে দলের বেশ কিছু প্রার্থীরা ঠিকমত টাকা খরচ করছেন না, আবার অনেক ক্ষেত্রে খরচ করলেও তার অপচয় করছেন বলে খবর এসেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে।

তাই সেই খবর পেতে না পেতেই দলের রাজ্য নেতৃত্বকে গোটা বিষয়টি দেখবার জন্য কড়া বার্তা দিলেন দলের সর্বভারতীয় চাণক্য তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অর্থ্যাৎ নির্বাচনী প্রচারে অর্থ যাতে অনর্থের কারণ না হয়, তার জন্য এবার সরাসরি ময়দানে নামলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, তিনটি বিষয় বিবেচনা করে নির্বাচনের কাজে টাকা বরাদ্দ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যারা পুরনো রাজনীতিবিদ এবং অতীতে বিধায়ক বা সাংসদ ছিলেন, তাদের কম টাকা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয়ভাগে রয়েছেন, যারা দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা, কিন্তু নির্বাচনে অর্থব্যয় করার মত ব্যক্তিগত সামর্থ্য নেই। আর তৃতীয় ভাগে রয়েছেন, সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে রাজনীতিতে এসে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা।

স্বাভাবিক ভাবেই তৃতীয় ভাগের প্রার্থীদের সব থেকে বেশি টাকা খরচ করার জন্য দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তাই এই পরিস্থিতিতে অর্থের অপচয় যাতে না হয়, তার জন্য কড়া নির্দেশ দিয়ে দিলেন অমিত শাহ। যদিও বা এমন কোনো নির্দেশের কথা তার জানা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। এদিন তিনি বলেন, “হিসেব রাখার ব্যাপারে আলাদা করে সতর্ক করা বা হওয়ার কিছু নেই। বিজেপি সব সময় আর্থিক স্বচ্ছতাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। রাজ্য বিজেপির সামর্থ্য জানেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সেই সামর্থ্য মতই খরচ করা হচ্ছে।”

তবে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র যে কথাই বলুন না কেন, অনেক ক্ষেত্রেই অর্থ অপচয়ের বিষয়টি নজরে এসেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের, তা বলাই যায়। আর সেই কারণেই নির্বাচনের ময়দানে যাতে এই বিষয়টি তৃণমূল বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কাছে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে না দাঁড়ায়, তার জন্যই এবার সচেষ্ট হলেন দলের সর্বভারতীয় চাণক্য। আর সেই কারণেই সকলকে এই ব্যাপারে সতর্ক করে দিলেন তিনি। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!