এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > এক নির্বাচনী জনসভাতেই ৩০ হাজার করোনা আক্রান্ত! গবেষকদের নতুন তথ্যে উঠে গেল ঝড়! বাড়ল আতঙ্ক!

এক নির্বাচনী জনসভাতেই ৩০ হাজার করোনা আক্রান্ত! গবেষকদের নতুন তথ্যে উঠে গেল ঝড়! বাড়ল আতঙ্ক!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হয়েছিল একেবারে প্রথম থেকেই। সেইসঙ্গে কিছুদিন আগের একটি সমীক্ষায় করোনা একেবারে চলে গেছে মনে করা হলেও তার দ্বিতীয় ঢেউ যে আবারো আঘাত হানতে পারে যে কোন দেশের উপর, সেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। আর সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে ইতিমধ্যেই ইউরোপের দেশগুলিতে আবারও নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

একদিকে যেখানে ইউরোপের দেশগুলির সংক্রমণের হার অনেকটাই নেমে গিয়েছিল এবং মানুষ আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার তোড়জোড় করছিলেন, এমন পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে স্তব্ধ হয়েছে ইউরোপের দেশগুলোর জনজীবন। সেইসঙ্গে ইতিমধ্যেই এই সংক্রমনের তীব্রতা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছে আমেরিকা।

আর তাই এমন পরিস্থিতিতে বড় ধরনের জমায়েত যে “সুপার স্প্রেডার” হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। যার ফলে করণা সংক্রমণ কমানোর প্রায় সব চেষ্টাই যে ব্যর্থ হয়ে যাবে সেকথা জানানো হয়। তবে সম্প্রতি সেই চেষ্টাকে ব্যর্থ করে জানা গেছে মার্কিন প্রশাসনের নাগরিকদের করুণা আক্রান্ত হবার পেছনে রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার সভা।

জানা গেছে, সেই কারণেই নাকি আমেরিকার প্রায় ৩০ হাজার মার্কিন নাগরিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। এই সমীক্ষায় দেখা গেছে গত ২০শে জুন থেকে ২২শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মোট ১৮টি সভা করেছেন ট্রাম্প।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী এই সভায় যে পরিমাণ মানুষের জনসমাগম হয়েছিল তার ফলেই এত সংখ্যক মানুষের করোনা আক্রান্ত হবার পরিস্থিতি তৈরি হয়। কারণ এমনিতেই আমেরিকায় মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার মত বিষয়ে অনীহা দেখা গিয়েছিল আগেই। আর এমন পরিস্থিতিতে কোনো বড় জমায়েত যে সংক্রমনের মাত্রা দ্বিগুণ করে দিতে পারে, সে কথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না

আর এই কথা সভার আগে সংক্রমনের চেহারা আর সভার পরে তার পরিবর্তন বা সবকিছু ভালো করে পর্যবেক্ষণ করেই বিশেষজ্ঞরা এমন সিদ্ধান্তে এসেছেন বলে জানা গেছে। যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষজনদের বড় মাশুল গুনতে হচ্ছে বলেও মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ৩রা নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর তার আগে বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে আসছে যে এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পের চেয়ে বিডেনেরই পাল্লা ভারী।

কারণ ট্রাম্পের থেকে অনেক বেশি জন সমর্থন করছে তাঁকে। তবে এরই মধ্যে এমন ঘটনাকে ট্রাম্পকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে সেকথাই মনে করা হচ্ছে। কারণ স্বাভাবিকভাবেই এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বিডেন এমন সমীক্ষাকে যে হাতিয়ার করবেন সেটা বলাই বাহুল্য।

জানা গেছে, এই সমীক্ষাটি নিয়ে করা একটি টুইটের প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষদের পরোয়া করেন না। এমনকী, নিজের সমর্থকদের ব্যাপারেও তাঁর কোনও মাথাব্যথা নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে যে কারণেই হোক না কেন, ইউরোপের দেশগুলিতে যেভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রভাব ফেলেছে, তা যে ভারতের মত দেশগুলির কাছে আগাম সতর্ক বার্তা, সেকথাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!