এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > নির্দল প্রার্থীর মৃত্যুতে আটকাচ্ছেনা ভোট, জানিয়ে দিল কমিশন

নির্দল প্রার্থীর মৃত্যুতে আটকাচ্ছেনা ভোট, জানিয়ে দিল কমিশন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার সাথে সাথেই তার ধাক্কায় বেসামাল গোটা দেশ। পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গও। লাগাতার রেকর্ড হারে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রামিত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। আগামী 29 শে এপ্রিল এবারের বিধানসভা নির্বাচনের সর্বশেষ দফা হতে চলেছে। কিন্তু এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মাঝপথেই করোনা এসে এমন ধাক্কা দিয়েছে, তাতে বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে। অনেকেই অসুস্থ। ভোটের আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে সোমবার মৃত্যু হয়েছে মালদার বৈষ্ণবনগরের নির্দল প্রার্থীর।

আগামী 29 এপ্রিল নির্বাচন হওয়ার কথা বৈষ্ণবনগরে। কিন্তু নির্দল প্রার্থীর মৃত্যুতে মনে করা হচ্ছিল, ভোটের দিন হয়তো এই কেন্দ্রে পিছিয়ে যেতে পারে। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলের পর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী এই কেন্দ্রে ভোট নিতে কোনো বাধা নেই। তাই 29 তারিখেই ভোট হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, এর আগে সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে কংগ্রেস ও আরএসপি প্রার্থীর মৃত্যুতে কিন্তু সেখানে ভোট গ্রহণ স্থগিত হয়েছে। তাহলে এক্ষেত্রে কেন সেই নিয়ম লাগু হবেনা?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের 52 নম্বর ধারা অনুযায়ী শুধুমাত্র কমিশনের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মৃত্যুতে সেই কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হতে পারে। না হলে ভোট স্থগিত হওয়ার কোনো কারণ থাকে না তাই বৈষ্ণবনগর ভোট হতে কোন বাধা নেই। আর সে কারণেই বৈষ্ণবনগরের ভোট হতে কোনো বাধা থাকবে না। যেহেতু নির্দল প্রার্থীরা কোনো স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে লড়াই করেন না, ব্যক্তিগতভাবে ভোটের লড়াইয়ে নামেন তাই তাঁদের মৃত্যুতে ভোট স্থগিত করার কোন নিয়ম নেই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে।

তাই 29 তারিখ বৈষ্ণবনগরে পূর্বনির্ধারিত নিয়মে ভোট হবে। সেক্ষেত্রে  ভোটের দিন পরিবর্তন হওয়ার মতন কোন কারণ তৈরি হচ্ছেনা। বিভিন্ন মহলে অবশ্য নির্দল প্রার্থী করোনায় মারা যাওয়ার পর সংশয় তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে কমিশন নিজেই এই আইনটির উল্লেখ করে ব্যাখ্যা করে দিয়েছে। যার ফলস্বরূপ আগামী 29 এপ্রিল রাজ্যের 34 টি আসনে হতে চলেছে নির্বাচন যার মধ্যে থাকছে বৈষ্ণবনগর। ভোটের মুখে নির্দল প্রার্থীর মৃত্যুতে এখন আর সুযোগ নেই অন্য কারোর লড়াইয়ের ময়দানে নামার। তাই মনে করা হচ্ছে বৈষ্ণবনগরে এবার দুই যুযুধান রাজনৈতিক শিবির তৃণমূল-বিজেপি এবং সংযুক্ত মোর্চা মুখোমুখি হতে চলেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!