এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কর্ণাটকের মন্ত্রীকে ‘ধমক’ নির্মলা সীতারামনের, পাল্টা দিলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী – শোরগোল জাতীয় রাজনীতিতে

কর্ণাটকের মন্ত্রীকে ‘ধমক’ নির্মলা সীতারামনের, পাল্টা দিলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী – শোরগোল জাতীয় রাজনীতিতে


কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামণকে তীব্র কটাক্ষ করলেন কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা অন্যতম শীর্ষ কংগ্রেস নেতা জি পরমেশ্বর। এদিন কর্ণাটকের কোডাগুতে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সেখানেই তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে উপস্থিত সকলের সম্মুখেই কর্ণাটকের মন্ত্রী সারা রমেশের উপরে ব্যক্তিগত ক্ষোভ উগড়ে দিলেন। শুধু তাই নয় তীব্র ধিক্কারও জানালেন রাজ্যের মন্ত্রীকে।

কিন্তু এই বিষয়টিকে মোটেই সুনজরে দেখলেন না কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর। শনিবার তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়কে কেন্দ্র করে কড়া সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজ্যের কোডাগুর বন্যা বিধ্বস্ত স্থান পরিদর্শনের পরে দীর্ঘ সময়ব্যাপী সাংবাদিক বৈঠকের সময়সূচী হ্রাস করার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান রাজ্যের মন্ত্রী সারা মহেশ।

জেডিএস-কংগ্রেস জোটের কর্ণাটক রাজ্য সরকারের দাবি এতেই ক্ষিপ্ত হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীনই নির্মলা সীতারামন তাঁর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করে বলেন, ‘আমি মিনিটে মিনিটে প্রোগাম করে বেড়াচ্ছি। মিনিস্টার, যদি অফিসিয়ালরা গুরুত্বপূর্ণ হন তাহলে আমার কাছে আমার পরিবারও গুরুত্বপূর্ণ, এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এখানে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীকে অনুসরণ করে চলবে, অবিশ্বাস্য’!

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যকে রীতিমত বিরোধিতা করে এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর ট্যুইট করে লেখেন, তাঁর রাজ্যের মন্ত্রীকে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ্যে যেভাবে আক্রমন করেছেন তা মোটেও সহ্য করা যায় না। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এইরূপ আচরণকে তিনি হতাশাজনক বলেও অ্যাখ্যায়িত করেছেন। জি পরমেশ্বর আরও জানালেন যে, কর্ণাটক সরকারের মন্ত্রীরা বিগত কয়েক সপ্তাহ যাবত কোডাগুর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনাকে সরেজমিনে পরিদর্শন করছেন।

কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী আরো জানান, শুধু সরেজমিনে পর্যবেক্ষন করাই নয়, দুর্গতদের উদ্ধার ও ত্রাণের কাজও দেখভাল করছেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। এই কাজ করার জন্যে স্থানীয় প্রশাসনের সম্পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন তাঁরা। সুতরাং এই রকম পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন যদি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সৌজন্য দেখায় তাহলে পরিবর্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরও উচিত তাঁদের সাথে সৌজন্য বজায় রেখেই বাক্যালাপ করা। ফলে সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের মন্ত্রীর তরজায় সরগরম কর্ণাটকের রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!