এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নিশ্চুপতাই কি যোগদানের পুরস্কার! মমতার কথায় জল্পনা

নিশ্চুপতাই কি যোগদানের পুরস্কার! মমতার কথায় জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট প্রায় সাড়ে তিন বছর ভারতীয় জনতা পার্টির সংসর্গে থেকে একেবারে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে বঙ্গ রাজনীতি করার পরে পুনরায় নিজের পুরাতন দল তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরত আসলেন মুকুল রায়। তার যোগদানকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা ভারতবর্ষের তাবড় তাবড় সংবাদমাধ্যমের নজর বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল ভবনের দিকে। কিন্তু সেই মুকুল রায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পেছনে মূল কারণ কি?

একদিকে যখন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে শোনা যাচ্ছে, ভোটের সময় যারা সামনে থেকে দাঁড়িয়ে দলের সঙ্গে গদ্দারি করেছেন, তাদেরকে কোনোভাবেই দলে ফেরত নেওয়া যাবে না। আর সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেস দিয়ে কারা যোগদান করবেন, আর কারা যোগদান করতে পারবেন না, সেই নীতিনির্ধারণের বৈঠকের দিনই কি করে মুকুল রায়কে ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে সরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করানো হল?

যা নিয়ে বর্তমানে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে জল্পনা চরমে। তবে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক সম্মেলনের পরে কার্যত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসে না থাকা সত্ত্বেও, ভারতীয় জনতা পার্টিতে থেকে রাজনৈতিকভাবে নিজেকে চুপ রেখে আদতে ভালোই করেছেন মুকুল রায়। তৃণমূল কংগ্রেসে তার যোগদানের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তা স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বলা বাহুল্য, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যাওয়া সিংহভাগ নেতা-নেত্রীরা সরাসরিভাবে তির্যক প্রশ্নবানে বিদ্ধ করেছিল ঘাসফুল শিবিরকে। আর সেই সময় যে মুকুল রায় সবার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসর্গ ত্যাগ করে, ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং তৃণমূলের পতনের শুরুর কথা জানিয়েছিলেন, সেই মুকুল রায় কিন্তু এবারের নির্বাচনে নিজের মুখ থেকে একটি কথাও বের করেননি।

কার্যত তিনি সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে। আর আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক সম্মেলনে একটি মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার হয়ে গেল, মুকুল রায়ের এই নিশ্চুপতাই প্রশস্ত করেছে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদানের পথ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বলেন, “এক ধরনের লোক থাকে যারা থাকে চরমপন্থী। যারা সরাসরি দলকে গদ্দারি করে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। আর এক ধরনের লোক থাকে যারা নরমপন্থী।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই “নরমপন্থী” বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়কেই ইঙ্গিত করার চেষ্টা করেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভিন্ন দলে থাকলেও নিজের কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে 2021 সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে সুবিধা করে দিয়েছিলেন মুকুল রায়। ঠিক যার কারনে দল ক্ষমতায় আসার পরেই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মুকুল রায়কে সস্নেহে দলে স্বাগত জানিয়ে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারে মুকুল রায়ের আগমনে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক ভবিষ্যত ঠিক কতটা উজ্জ্বল হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!