এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > আগাম হুঁশিয়ারি দেওয়া সত্ত্বেও বিরোধী দল থেকে শাসকদলে এলেন না কেউ, কি বলছেন শুভেন্দু অধিকারী নিজে?

আগাম হুঁশিয়ারি দেওয়া সত্ত্বেও বিরোধী দল থেকে শাসকদলে এলেন না কেউ, কি বলছেন শুভেন্দু অধিকারী নিজে?

একের পর এক কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত জেলাগুলির সাংগঠনিক দায়িত্ব নিয়ে সেখানে ঘাসফুলের পতাকা ওড়াতে সক্ষম হয়েছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানে একদমই ব্যতিক্রম নয় একদা কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর গড় বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদ জেলাও। এই জেলায় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার পরই বিরোধী নেতা থেকে বিধায়কদের শাসকদলে যোগদান করিয়েছেন তিনি।

আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে গতকাল রানীনগরে তৃণমূলের দলীয় সভায় শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে সিপিএম, বিজেপি এবং কংগ্রেস থেকে একাধিক হেভিওয়েট নেতারা ঘাসফুলের পতাকা নিজের হাতে তুলে দেবেন বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। কিন্তু জল্পনা-কল্পনাই সার হল। বাস্তবে তেমন কোনো বিরোধী দলের হেভিওয়েট নেতারা শুভেন্দু অধিকারীর এই সভায় দল বদল করলেন না। তাহলে কি এবার মুর্শিদাবাদ জেলায় বিরোধীদের উইকেট ফেলতে অক্ষম হলেন শুভেন্দুবাবু?

অনেকে বলছেন, আজ কেউ যোগ দিলেন না মানেই সমস্ত কিছু ফুরিয়ে গেল না – কারণ, আগামীকাল পড়ে আছে। কিন্তু ঠিক কোন কোন বিরোধী দলের কোন কোন নেতার শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে তৃনমূলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল? আর কেনই বা তাঁরা যোগদান করলেন না? সূত্রের খবর রবিবারের এই সভায় মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির সভাপতি গৌরীশংকর ঘোষ এবং জেলা বিজেপির সহ সভাপতি হুমায়ুন কবীর তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে শোনা গিয়েছিল। এমনকি জলঙ্গির সিপিএম বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাকের নামও সেখানে উঠে আসছিল।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

যদিও বা আব্দুর রাজ্জাক এই সমস্ত জল্পনা-কল্পনাকে মিথ্যে প্রচার বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে হুমায়ুন কবীর বলেন, “প্রস্তাব আমার কাছেও এসেছিল। তবে বললেই তো আর তৃণমূলে যোগ দিতে পারি না। দলের কোন স্তর থেকে প্রস্তাব আসছে এবং কোন পদে কেমন সম্মান দিয়ে কি দায়িত্ব দেওয়া হবে তা ওরা আমায় আগে জানাক। তারপরে না হয় ভেবে দেখব”। এদিকে হুমায়ুন কবীরের এহেন মন্তব্যের পাল্টা তাঁকে খোঁচা দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও।

এদিন তিনি বলেন, “রেজিনগরের একটা মাতব্বর দলে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিল। আমি রেজিনগরের বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেছি। কারণ ওটা পঁচা শামুক। পচা শামুক দলে এলে অনেকেরই পা কাটবে। কেউ আসবে বললেই তো আর তাঁকে দলে নেওয়া যায় না”। তবে জেলায় দলবদলের ক্ষেত্রে যে অনেকটাই চমক রয়েছে এদিন সেই জল্পনাও উস্কে দিয়েছেন শুভেন্দুবাবু। শাসকদলের একাংশের মতে, শুভেন্দু অধিকারী যখন নিজের মুখে বলেছেন, তখন এই বিরোধী নেতাদের দলে যোগ দেওয়া খালি সময়ের অপেক্ষা।

অন্যদিকে, শুভেন্দুবাবুর হাত ধরে তাঁদের দলের অনেকেই যে দলবদল করবে তা ঘুরিয়ে হলেও এদিন স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্বদের অনেকেই‌। এদিন তাঁরা বলেন, “ধমকে-চমকে দলে লোক টানতে শুভেন্দুবাবুর জুড়ি নেই। কাজেই বিজেপির কাঁধেও যে তিনি শ্বাস ফেলবেন তা আর নতুন কি”? এদিকে এই দিনের রাণীনগরের সভায় বিরোধীদের তরফে তেমন কোনো হেভিওয়েট নেতাকে দলে যোগদান করাতে না পারলেও কংগ্রেসের বর্তমান সাংসদ অধীর চৌধুরীকে প্রবল কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি বলেন, “পাঁচ রাজ্যে বিজেপির হারে গোটা দেশ খুশি হলেও সেখানে একমাত্র অখুশি রয়েছেন অধীর চৌধুরী। কারণ তিনি কিছুদিনের মধ্যেই বিজেপিতে যোগদান করবেন। আগামী লোকসভা ভোটে কম করে এখানে এক লক্ষ ভোটে বিরোধীদের হারাবো। অধীর চৌধুরীর বন্দোবস্ত করে তার পরই আমি এই জেলা থেকে সরব”। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই রানীনগরের সভায় বিরোধীদের তরফে তেমন কোনো হেভিওয়েট নেতাকে যোগদান না করলেও জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর কথাতেই স্পষ্ট যে ভবিষ্যতে এই জেলার থেকে বিরোধী দলের দাপুটে কোনো রাঘববোয়ালকে ঘাসফুলের পতাকা হাতে ধরিয়ে চমক দিতে চাইছেন তিনি। কিন্তু কারা কারা রয়েছে সেই চমকের তালিকায় এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!