নজিরবিহীন! নতুন বছরে এখনো পেনশনের দেখা পেলেন না ৮ হাজার পেনশনভোগী প্রাক্তন কর্মী! কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য January 6, 2019 ব্যক্তিগত জীবনে বেশ কিছু ঝামেলার জন্য অবশেষে রাজ্যের মন্ত্রীত্ত্বের পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার মেয়রপদে থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন কে? এই প্রশ্নে যখন আকুল বঙ্গবাসী – তখন পুরনিয়মের তড়িঘড়ি বদল ঘটিয়ে রাজ্যের বেশ কিছু গুরুত্ত্বপূর্ন মন্ত্রকের দায়িত্ত্ব সামলানো ফিরহাদ হাকিমের হাতেই তুলে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর না হয়েও, রাজ্য সরকারের তড়িঘড়ি নিয়ম বদলের কল্যানে কলকাতা পুরসভার মেয়র পদে স্বাধীন ভারতের প্রথম সংখ্যালঘু মেয়র হিসাবে বসলেন ফিরহাদ সাহেব। আর নতুন দায়িত্ত্বের চেয়ারে বসেই – একের পর এক স্বপ্ন দেখাতে শুরু করলেন তিনি। পুরকরে ছাড় সহ তিলোত্তমা কলকাতাকে সবুজে মুড়ে দেওয়ার একাধিক অঙ্গীকার। রাজ্যের ১৭ টি পুরসভার নির্বাচন থমকে থাকলেও – তাঁর মেয়র পদ সুনিশ্চিত করতে এক তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর শারীরিক কারণে ইস্তফা দিতেই – সেখান থেকে উপনির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা হয়ে গেল নতুন মেয়রের। তিনি আপাতত ব্যস্ত নির্বাচন নিয়ে – আর তাই বোধহয় কলকাতা পুরসভার নতুন মেয়র ভুলে গেছেন নতুন বছরের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পেনশন পাননি তাঁর দপ্তরের ৮ হাজার প্রাক্তন কর্মী! এই প্রাক্তন কর্মীদের কথায় যা নজিরবিহীন – আজ পর্যন্ত নগরোন্নয়ন দপ্তরের ইতিহাসে কোনোদিন হয় নি! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু কেন পাচ্ছেন না পেনশন এই প্রাক্তন কেএমডিএ, কেএমডব্লিউএসএ ও কেআইটি-র কর্মীরা? এই রকমই পেনশন না পাওয়া কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে যা জানা গেল, দুটি কারণ থাকতে পারে এর পিছনে। এক – নাগোরন্নয়ন দপ্তরের ফান্ড শর্টেজ আর দুই, অন্যকাজে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা এত ব্যস্ত যে – এই পেনশনের কথা ভুলেই গেছেন! পেনশন না পাওয়া এই প্রাক্তন কর্মীদের আরও অভিযোগ, এই নিয়ে চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানিয়েছেন শীঘ্রই নাকি পেনশন হয়ে যাবে। কিন্তু, কবে হবে তিনি সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি। তবে, গত পরশু পর্যন্ত এই সংক্রান্ত ফাইল সই করে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছায়নি বলে জানানো হয়েছে পেনশনভোগী এই প্রাক্তন কর্মীদের। এই প্রসঙ্গে, সরকারি কর্মচারী পরিষদের দেবাশীষ শীলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ঘটনার সত্যতার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, আসলে এই সরকার খেলা-মেলা-কার্নিভ্যাল নিয়ে এত ব্যস্ত যে পেনশনের মত অতি গুরুত্ত্বপূর্ন বিষয় অক্লেশে ভুলে যেতে পারে! এই সরকার – সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক ও পেনশনভোগীদের জন্য ‘বঞ্চনা’ ছাড়া আর কিছুই যে করে না এই ঘটনায় আবারো প্রমাণিত হয়ে গেল! আপনার মতামত জানান -