এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > কোথায় দূরত্ববিধি? 100 দিনের কাজ শুরু হতেই এবার গ্রামাঞ্চলেও বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ভয়!

কোথায় দূরত্ববিধি? 100 দিনের কাজ শুরু হতেই এবার গ্রামাঞ্চলেও বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ভয়!


করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে একমাত্র উপায় লকডাউন। সামাজিক দূরত্বকে মান্যতা দিয়ে তাই করোনা ভাইরাস ভারতবর্ষে প্রবেশ করার সাথে সাথেই গোটা দেশ লকডাউনের কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ব্যতিক্রম ছিল না পশ্চিমবঙ্গও। ইতিমধ্যেই দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও চলছে চতুর্থ দফার লকডাউন। তবে দীর্ঘদিন লকডাউনের ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্র বন্ধ থাকায়, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সংকটের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তাই এমতাবস্তায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে সেই লকডাউন শিথিল করে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে সচল করতে বিভিন্ন দুয়ার খুলে দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে গ্রামের 100 দিনের কাজের ক্ষেত্রে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই 100 দিনের কাজকে কেন্দ্র করে এবার সামাজিক দূরত্ব না মানার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। যার ফলে বাংলায় করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, শুক্রবার বর্ধমান- কাটোয়া রোডের ধারে গোয়াই পঞ্চায়েতের তরফ থেকে 100 দিনের প্রকল্পের সেচ খাল সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। আর সেখানেই দেখা যায় যে দুই সংসদের প্রায় হাজার খানেক পুরুষ-মহিলা সামাজিক দূরত্বকে মান্যতা না দিয়েই কাজ করছেন। শুধু তাই নয়, তাদের কারও মুখেই মাস্ক ছিল না। আর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করতে সরকারের পক্ষ থেকে এই 100 দিনের কাজ শুরু করার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হলেও, যেভাবে সেখানে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না এবং স্যানিটাইজার ও মাক্স ব্যবহার করা হচ্ছে না, তাতে গ্রামে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, 100 দিনের কাজ করতে সরকার সবুজসংকেত দিয়েছে অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে মজবুত করার জন্য। কিন্তু সেক্ষেত্রে এই কাজ করতে গিয়ে যদি মানুষ সামাজিক দূরত্ব পালন না করে, তাহলে তা সত্যিই ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কেন এই কাজে বিন্দুমাত্র সচেতনতা অবলম্বন করা হচ্ছে না? এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় মহকুমাশাসক প্রশান্তরাজ শুক্ল বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করা আবশ্যক। নিয়ম কোনোমতেই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না।”

এদিকে এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের প্রধান সুধীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা 100 দিনের প্রকল্পে সেচ খাল সংস্কারের কাজ দুটি সংসদ মিলে হাজার খানেক শ্রমিককে নিয়োগ করেছে। প্রত্যেককে কড়াভাবে বলে দেওয়া হয়েছিল যে, সমস্ত বিধি মেনে দূরত্ব রেখে কাজ করতে হবে। গা ঘেঁষে কাজ করা হলে তা ঠিক করেনি। সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা বলব।” সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে সচল করার জন্য গ্রামীণ ক্ষেত্রে 100 দিনের কাজ চালু করা হলেও, সেখানে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না, তা নিয়ে এবার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে সেই স্বাস্থ্যবিধিকে মানতা নিয়ে কোনো কড়া বার্তা দেওয়া হয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!