এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > নবাগতদের অত্যাধিক গুরুত্ব দেওয়াই কি দলকে ডুবিয়েছে? গণমাধ্যমে বিস্ফোরক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা

নবাগতদের অত্যাধিক গুরুত্ব দেওয়াই কি দলকে ডুবিয়েছে? গণমাধ্যমে বিস্ফোরক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল বিজেপি। তবে ২০০ টি আসন দূরে থাক, ১০০ টি আসনের গণ্ডিও পার করতে পারেনি বিজেপি। আর ভোটের পরই দলে চলছে প্রবল ভাঙ্গন। একের পর এক নেতা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। কেন এমন ভাবে পর্যুদস্ত হতে হলো গেরুয়া শিবিরকে? এবার এ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন দলের এই শোচনীয় পরাজয়ের কারণ।

আজ বোলপুরে গণমাধ্যমের সামনে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা জানালেন যে, তৃণমূল থেকে যেসব নেতারা এসেছিলেন, তাঁদেরকে গুরুত্ব দিয়ে বড় ভুল হয়েছে। সুযোগসন্ধানী তৃণমূল নেতাদের দলে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। দলের পুরোনো নেতাদের গুরুত্ব না দেওয়াটা একদম ঠিক হয়নি। এরা দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন।

বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা আরও জানালেন, তাঁদের অনেক ভুল ছিল। তৃণমূল থেকে যে সমস্ত নেতারা দলে এসেছিলেন, তাদের নিয়ে প্রচন্ড মাতামাতি করা হয়েছিল। এটা এতটাই বেশি হয়ে গিয়েছিল যে, দলের পুরোনো কর্মীরা দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। অনেকদিন আগে থেকে যারা দলটা করতেন, তাঁরা মনে করেছিলেন যে, এটা হয়তো নবাগতদের দল হয়ে পড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানালেন, একটা সময়ে হাওয়া ছিল যে, বিজেপি আসছে। সেই সময়ে বেশ কিছু নেতারা বিজেপিতে এসেছিলেন। কিন্তু ভোটের পর দেখা গেল বিজেপি হেরে গেছে, তখন সেই সব নেতারা পুরোনো দলে ফিরে গেছেন। এই ধরনের সুযোগসন্ধানী নেতারা কোনো দলেরই হন না। আবার যখন বিজেপির হওয়া আসবে, তখন হয়তো তারা চেষ্টা করবেন বিজেপিতে আসার। তাদের ভুল ছিল একটাই যে, এদের অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। এই ধরনের নেতাদের নিয়ে মাতামাতি করাটাই ভুল ছিল। এসব করে এখন তাদের শিক্ষা হয়েছে।

বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার এই বক্তব্য তুমুল শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। তার এই বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, নতুন-পুরনো তারা দেখেন না। বিজেপির পতাকা যে ধরেছেন তাঁকেই গুরুত্ব দেয়া হয়। সকলকে সম্মান দেয়া হয়েছে। কাউকে কাউকে টিকিট দেয়া হয়েছিল কেউ যদি থাকতে না পারেন? তাহলে কি করা যাবে? বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা যা মনে করেছেন, তাই তিনি বলেছেন।

অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানালেন যে, দলের পক্ষ থেকে এই ধরনের কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি। সমস্ত নির্বাচন থেকেই রাজনৈতিক দলগুলি শিক্ষা নিয়ে থাকে। হারলেও শিক্ষা নেয়, জিতলেও শিক্ষা নেয়। তাঁরা আশা করেছিলেন যে, তাঁরা জয়লাভ করবেন। কিন্তু মানুষ তাদের বিরোধী আসনে বসার রায় দিয়েছেন। এই নিয়ে দল আত্মসমীক্ষা করবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!