নবান্নে জানিয়ে তল্লাশি চালালে জঙ্গিরা পালাত! আলকায়দা জঙ্গি গ্রেপ্তার নিয়ে ঝড় তুলে দিল বিজেপি বিজেপি রাজনীতি রাজ্য September 21, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন যতই সামনে এগিয়ে চলেছে ততই রাজ্যে বাড়ছে রাজনৈতিক তরজা। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল বিজেপির আক্রমণের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও সেইসঙ্গে রাজ্য পুলিশ। গতকাল শনিবার ৬ জন আল-কায়েদা জঙ্গীকে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা গ্রেফতার করেছে। এই আবহে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছিলেন যে, রাজ্য সরকারের কারণেই পশ্চিমবাংলায় জঙ্গী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন যে, রাজ্যের পুলিশ জঙ্গিদের গ্রেফতার করতে অক্ষম হচ্ছে, অথচ বিজেপি করার অপরাধে সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করে নিচ্ছে। বিজেপি কর্মীদের নামে গাজার কেস দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান। তিনি আরও জানান যে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল জঙ্গলমহলে মাওবাদী এবং সারা রাজ্য জুড়ে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলোকে মদত দিয়ে তাদের গতিবিধি বৃদ্ধি করেছে। এই দুই গোষ্ঠীর কাজে লাগিয়েই তারা নির্বাচনী বৈতরণী পার করার চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর আরও অভিযোগ, বিজেপি নেতাদের খুন করা হচ্ছে। CAA পাশ হয়ে যাবার পরও তৃণমূল তার বিরোধিতা করছে, তাকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। তাঁর আরও অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জন্যই দেশজুড়ে জঙ্গী তৎপরতা বাড়ছে। গতকাল রাজ্য বিজেপি সভাপতির এহেন মন্তব্যের পর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আজ রবিবার বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু একাধিক বিরূপ মন্তব্য করলেন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে সঙ্গে তিনি রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে ছাড়লেন না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আজ রবিবার কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা থেকে মুর্শিদাবাদ জেলায় আল-কায়েদা জঙ্গি গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করলেন যে, দিল্লি থেকে গোয়েন্দা দল এসে জঙ্গিদেরকে গ্রেপ্তার করেছে। তাহলে সেখানকার পুলিশ কি ভূমিকা পালন করেছিল? পুলিশের বিরুদ্ধে তিনি প্রশ্ন করেন যে, পুলিশ কি সমস্ত ব্যাপারটাই জানতো? পুলিশের বিরুদ্ধে তিনি নিশ্চেষ্টতা ও অকর্মণ্যতার অভিযোগ তুলেছেন। এরপর তিনি বলেন, ” আমি কেন্দ্রের কাছে আবেদন করব তদন্তের সময় রাজনৈতিক দিকও খতিয়ে দেখার জন্য।”এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান যে, কোন কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি রাজ্য থেকে জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে, সে বিষয় সকলের সামনে আসার প্রয়োজন আছে। এরপরেই রাজ্য সরকারকে প্রত্যক্ষ ভাবে আক্রমণ করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “ শুনলাম রাজ্য পুলিশের ডিজিপি NIA-কে চিঠি দিয়েছেন, জানতে চেয়েছেন কেন তাঁদের না জানিয়ে অভিযান চালানো হল। উত্তর আমার কাছেই রয়েছে। নবান্নে খবর দিয়ে তল্লাশি হলে জঙ্গিরা পালাত।” আজ আলিপুরদুয়ার থেকেও একাধিক বিষয়ে রাজ্য সরকারকে ক্ষুরধার আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুরে তিনি জানালেন, রাজ্য সরকার রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি গোপন করেছিল বলেই, পশ্চিম বাংলায় করোনা সংক্রমণ এতটা বাড়ছে। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে করা বিভিন্ন বিস্ফোরক মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে রাজ্য রাজনীতিতে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। আপনার মতামত জানান -