এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নবান্ন অভিযান কাণ্ডে এবার বড়সড় বিপাকে পড়তে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ,সৌজন্যে বিজেপি

নবান্ন অভিযান কাণ্ডে এবার বড়সড় বিপাকে পড়তে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ,সৌজন্যে বিজেপি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ৮ ই অক্টোবর বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিবেশ সৃষ্টি হয় কলকাতায়। বিজেপির নবান্ন অভিযানকে রোধ করতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। নবান্ন অভিযানে ব্যাপক পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ তোলে বিজেপি। মূলত, বিজেপির তিন সাংসদকে হেনস্থা ও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ জানিয়ে চলতি সপ্তাহেই সংসদে সরব হতে পারে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের প্রস্তাব দাখিল করতে পারে বিজেপি। দলীয় সূত্র মারফত এমন খবর সামনে এলো। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে এমন প্রস্তাব বিজেপি আনলে যথেষ্ট বেকায়দায় পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।

প্রসঙ্গত গত ৮ ই অক্টোবর বিজেপির নবান্ন অভিযান কেন্দ্র করে বিজেপির কয়েক লক্ষ নেতাকর্মী নবান্নের দিকে অগ্রসর হন। অন্যান্য বহু জেলা থেকে একাধিক নেতা-কর্মী-সমর্থক কলকাতার দিকে বসে করে রওনা হন সেদিন। বিজেপির অভিযোগ, তাদের অভিযান শুরু হবার আগেই তাদের কর্মী-সমর্থকদের বাস আটকে দেয় পুলিশ। এরপর পুলিস রাস্তা অবরোধ করে দাঁড়ায়। এর প্রতিবাদে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছুড়তে থাকে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। কিছু স্থানে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করলে আরও খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

শেষ পর্যন্ত কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। এরপর কিছুস্থানে জলকামানও ব্যবহার করে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, এই জলকামানে যে রঙিন জল ব্যবহার করা হয়েছিল যে রঙিন জলে ছিল রাসায়নিক। এই রাসায়নিক মিশ্রিত জলে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, জলকামানে কোন রাসায়নিক নয়, হোলির রং ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে প্রশাসনের এই সাফাই মেনে নেয় নি বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার নবান্ন অভিযানের দিন জোড়াসাঁকো থানায় পুলিশের হেনস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন বেশকিছু বিজেপি নেতৃত্ব। থানায় গিয়ে ছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, দীর্ঘ অপেক্ষা করিয়েও পুলিশ তাদের অভিযোগ গ্রহণ করেনি। জোড়াসাঁকো থানার বাইরে এসে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান যে, তাঁরা দু’ঘণ্টারও বেশি সময় থানায় অপেক্ষা করেছেন। এমনকি মাঝরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু তাদের তিনজন সাংসদকে পুলিশ অন্যায়ভাবে নির্যাতন করেছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য জানিয়েছিলেন, ” এই পুলিশ তৃণমূলের অধীনে । এরা সংবিধানের মর্যাদা দিতে জানে না । তিনজন সাংসদকে হেনস্থা করেছে । ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রস্তাব দাখিল করব সংসদে । শেখাব কীভাবে সংবিধানের মর্যাদা দিতে হয় । ”

সেসময় তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে সংসদে অভিযোগ আনবেন বলেছিলেন। চলতি সপ্তাহেই সংসদে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের প্রস্তাব দাখিল করতে পারে বিজেপি।বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, জ্যোতির্ময় মাহাত, বেঙ্গালুরু দক্ষিণের সাংসদ তেজস্বী সূর্য অভিযোগ জানাতে পারেন। এমনটাই খবর এসেছে বিজেপির দলীয় সূত্র থেকে। প্রসঙ্গত রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিকবার নিরপেক্ষহীনতার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। রাজ্য পুলিশ নিরপেক্ষ নয়, তারা শাসকদল তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে এমন অভিযোগ বিজেপির পক্ষ থেকে বারবার উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এবার সংসদে অভিযোগ তোলা হলে বিপাকে পড়তে পারে রাজ্য পুলিশ, এমনটাই মনে করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!