এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নজিরবিহীন পদক্ষেপ করোনা আক্রান্ত তৃণমূল বিধায়কের! প্রশংসার বন্যা চিকিৎসক থেকে রাজনৈতিক মহলে

নজিরবিহীন পদক্ষেপ করোনা আক্রান্ত তৃণমূল বিধায়কের! প্রশংসার বন্যা চিকিৎসক থেকে রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে ও দেশে করোনার সংক্রমণ অব্যাহত। সাধারণ মানুষতো বটেই সমাজের মান্যগণ্য দেরও রেহাই মিলছে না এর হাত থেকে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক অঙ্গনে করোনার ব্যাপক আক্রমণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজ্যের বহু সংসদ, বিধায়ক, কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত সদস্য ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রামিত হয়েছেন। রাজ্যের দুজন বিধায়ক করোনা সংক্রামিত হয়ে প্রাণ বিসর্জনও দিয়েছেন রাজ্যের অনেক কাউন্সিলর ঝুঁকিপূর্ণভাবে জনসভা করতে গিয়ে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন।

শাসক-বিরোধী দু তরফেরই বেশ কিছু নেতাকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বার অনেকে সুস্থ হয়ে ফিরেও এসেছেন। এই পরিস্থিতে করোনায় আক্রান্ত হলেন নদীয়া জেলার চাপরা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক রুকবানুর রহমান। সম্প্রতি, করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি কলকাতার ই.এম. বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

করোনা সংক্রমনের কারণে আগামী কিছুদিন তিনি নিজেকে প্রশাসনিক কাজে যুক্ত করতে পারবেন না বলে, নিজের অক্ষমতার বিষয়টি জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল দলের পরিষদিয় মন্ত্রী তথা শাসক দলের দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেই সঙ্গেই তিনি চিঠি দিয়েছেন বিধানসভার বর্তমান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, তাঁর প্রণীত এই পত্রগুলিতে তিনি নিজের স্বাক্ষর দান করেননি। পত্রে স্বাক্ষর দান না করা প্রসঙ্গে তার অভিমত, ” আমার থেকে করোনা সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই স্বাক্ষর থেকে বিরত থাকলাম।” প্রসঙ্গত বিধানসভায় এরকম স্বাক্ষরহীন চিঠি ইতিপূর্বে কখনো দেখা যায়নি।

বর্তমানে চাপড়া তৃণমূল বিধায়ক রুকবানুর রহমান ই.এম. বাইপাসের ধরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর শরীরে অস্ত্রোপচার ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে । তাঁর পরিবার থেকে জানানো হয়েছে যে, বিধায়কের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। বিধায়কের এই পত্রগুলির অনুলিখন করেছিলেন তাঁর স্ত্রী জাহিদা রহমান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ” বিধায়কের নির্দেশমতো চিঠিটি তৈরি করেছি। বয়ান টাইপ করে তা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়েছিলাম হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে। ওই স্বাস্থ্যকর্মী বিধায়ককে চিঠিটি পড়ে শোনান। সম্মতি আসার পর লেটারহেডে প্রিন্ট করা হয়।” উল্লেখ্য, পত্র প্রেরণের আগে উপযুক্তভাবে স্যানিটাইজ করার কথা তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

করোনা সংক্রমণ রোধ করতে বিধায়কের ভূমিকাকে বিশেষ ভাবে স্বাগত জানিয়েছে তাঁর দল। তাঁর এই উদ্যযোগকে শ্রদ্ধা জানালেন এসএসকেএম হাসপাতালের জনৈক চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “করোনা আক্রান্ত কোনও ব্যক্তি মাস্ক না পরে কাশি, হাঁচি দেওয়ার পর পেন ধরে কাগজপত্রে লেখালেখি করার পর ওই কাগজে অন্য কেউ হাত দিলে তাঁর সংক্রমণ ঘটতেই পারে। চিকিৎসকদের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির ছোঁয়া থাকা পেন বা কাগজে বেশ কয়েক ঘণ্টা ভাইরাস থাকতে পারে।”

অন্যদিকে বিধায়কের এই বিশেষ উদ্যোগ সম্পর্কে রাজ্যের পরিষদীয় দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তাপস রায় বলেছেন, ” সচেতনতার ক্ষেত্রে বিধায়কের একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলার কথা চিকিৎসকরা প্রতিদিনই বলছেন।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!