ই-মনোনয়নের প্রার্থীদেরও নাম প্রত্যাহারে চাপ ও হুমকির অভিযোগ উঠতে শুরু করল রাজ্য May 11, 2018 আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষ্যে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র স্বশরীরে হাজির হয়ে বিডিও বা এসডিও অফিসে পেশ করার ক্ষেত্রে নানারকম প্রতিবন্ধকতার দরুণ বাম শিবির ই -মনোনয়ন পেশের দাবিতে আদালতে আর্জি জানায়। এই মামলায় আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ বাম শিবিরের শরিক দল সিপিএমের আর্জি কে সমর্থন করে। এই মর্মে রায় দান করে যে ই-মেল মারফত মনোনয়ন জমার বিষয় অনুমোদন পেলে রাজ্যে হিংসার হার অনেকাংশে কমবে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে হাইকোর্টের রায় দানের কয়েক ঘন্টার মধ্যে অভিযোগ উঠল, ই-মনোনয়ন দেওয়া পাঁচ প্রার্থীকেও অপহরণ করা হয়েছে! উল্লেখ্য বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে সিপিএমের জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী অভিযোগ জানিয়ে বলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ-২ ব্লকের নস্করপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ প্রার্থী সুরজিত্ পণ্ডিত, আখতার শেখ, সুমিত দাস, মানস কর্মকার ও সুব্রত পণ্ডা প্রমুখ কে সশস্ত্র আততায়ীরা অপহরণ করে নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাত থেকেই উল্লিখিত ঐসকল প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিলো। এই মর্মে নোদাখালি থানায় অভিযোগঅও দায়ের করে সিপিএম। এই প্রসঙ্গে সিপিএম দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এ দিন বললেন, ”ই-মনোনয়ন কারা দিয়েছেন, সেই নামধাম জমা ছিল কমিশনের কাছে। জমা দেওয়া হয়েছিল আদালতেও। সেই সব প্রার্থীর তথ্য বাইরে বেরোতেই হুমকি শুরু হয়েছে।” সিপিএমের তরফে জানা গিয়েছে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ জেলাতে কিছু সংখ্যক ই মনোনয়ন পেশ করা গেলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বাধা দেওয়ার কারণে ই-মনোনয়ন পত্র পেশ করা সম্ভব হয়নি বলে সিপিএম’র অভিযোগ। অন্যদিকে তৃণমূলের সাংসদ এবং জেলায় দলের তরফে ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত শুভাশিস চক্রবর্তী বললেন, ”ই-মনোনয়ন কারা দিয়েছেন, তা জানার সুযোগ নেই এবং আমরা জানিও না। সন্ত্রাসের ভুয়ো অভিযোগের মতো ওটাও ভিত্তিহীন।” আপনার মতামত জানান -