এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মনোনয়নের সংখ্যা বদলে দেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে

মনোনয়নের সংখ্যা বদলে দেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে

মনোনয়নের সংখ্যা বদলে দেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। মনোনয়ন পত্রের সংখ্যা রাতারাতি বদল, নির্বাচন কমিশনে ভুতের কারসাজি, এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দিকে এমনিই অভিযোগ তুললেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এদিন বিকালে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে একটি সাংবাদিক বৈঠকে মনোনয়নের সংখ্যা বদলের বিষয়টিকে নিয়ে মজা করে বলেন, ”এ কোন যাদুবল? ভুতুড়ে কারসাজি? তৃণমূলের মনোনয়ন জমা দেওয়ার হিসেব ৯৮২ থেকে ১,০৮৫ হল কীভাবে? বিজেপি-ই বা ৭৩০ থেকে ৭৩১ হল কীভাবে? নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে ভূতের কারবার চলছে।”

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

তিনি আরো বলেন, “জেলা পরিষদে তৃণমূল কংগ্রেসের জমা হওয়া মনোনয়নপত্রের সংখ্যাটা একবার যাচাই করা হোক। পরীক্ষার পর ওই সংখ্যাটি গত নয় এপ্রিলে ছিল ৯৮২। ২৩ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মনোনয়ন জমা নেওয়া হয়েছে। আরও ২৫ জন তৃণমূল প্রার্থী জেলা পরিষদে ওই দিন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।” আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের একজন পোড় খাওয়া সাংবাদিক বিমান বসুর যুক্তিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “দু’ দফায় মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার কাজ হয়নি। বিমান বসু হয়তো ব্যাপারটা ভালো করে বুঝতে পারেননি।” বিমান বসু এর পাল্টা জবাবে জানান,”সিপিএমের সংখ্যাগুলি তো আমি জানি। জেলাপরিষদে আমাদের ৫২৪টি বৈধ মনোনয়ন জমা পড়েছিল। তা ৫৪৬টি হল কী করে? নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নবান্ন যুক্ত হয়ে এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে।” তিনি সরাসরি রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করে এদিন আরও বলেন, “তৃণমূল বিরোধীদলগুলির হয়েও মনোনয়ন জমা দিয়ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যাটা বলছেন ৯৬ হাজার। কিন্তু বিরোধীদের হয়ে তৃণমূলের ওই মনোনয়ন কিছু দিন পরেই বাতিল হবে। এই সব করা হয় মনোনয়নের সংখ্যাটা ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর জন্য। এটা একটা শয়তানি ফন্দি। এই ঘটনা নজির বিহীন। ২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এমন ঘটেনি।”

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!