এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নোটিশ পাঠালেই তো গ্রেপ্তারি নয়! রুজিরাকে নিয়ে তৃণমূলের বক্তব্যে বড় প্রশ্ন!

নোটিশ পাঠালেই তো গ্রেপ্তারি নয়! রুজিরাকে নিয়ে তৃণমূলের বক্তব্যে বড় প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবার রীতিমত খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে চেয়ে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল যুব কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা তৃণমূলে সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের সহধর্মিনী প্রতি এই ধরনের নোটিশ পাঠানোয় নিঃসন্দেহে অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের।

ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে মুখ খুলতে শুরু করেছেন তৃণমূলের শীর্ষস্তরের নেতা-নেত্রীরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সৌগত রায়, কুনাল ঘোষ থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতা নেত্রীরা সকলেই বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র নোটিশ পাঠানোর পরেই এই ধরনের প্রশ্ন না করে শাসকদলের বক্তব্য ঘিরে ধন্দে পড়ে গিয়েছে একাংশ।

অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, রাজ্য বা কেন্দ্রে তদন্তকারী সংস্থা যদি কাউকে নোটিশ পাঠায়, তাহলে অসুবিধা কোথায়? কাউকে হাজিরার জন্য যদি নোটিশ পাঠানো হয়, তার মানেই তো তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না! সেক্ষেত্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এভাবে যদি এখন থেকে গোটা বিষয়ে আপত্তি তুলতে শুরু করা হয়, তাহলে শাসকদলের এইরকম ভূমিকা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠবে, এটাই স্বাভাবিক।

পাশাপাশি বিরোধীদের পক্ষ থেকেও দাবি করা হবে যে, তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই নোটিশ পাঠানোর সাথে সাথেই তারা এইভাবে সরব হতে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, এমনটাও হতে পারে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুধুমাত্র তদন্তে সহযোগিতা করবার জন্য ডেকে পাঠাতে পারে সিবিআই। কিন্তু সেখানে যদি তৃণমূল কংগ্রেস আপত্তি করে, তাহলে সেই তৃণমূলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে জনতার মনে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেস এই বিষয়ে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছে। কেননা রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এই সিবিআই নোটিশ যাওয়ার পরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে নানা প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। যার মধ্যে দিয়ে এক প্রকার স্পষ্ট যে, এই ঘটনায় সিবিআই বড় কোনো পদক্ষেপ নিতে চলেছে। আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি তৃণমূলে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়ে গিয়েছে? তৃণমূলের একাংশ কার্যত নিশ্চিত যে, এই ব্যাপারে সিবিআই কোনো বড় পদক্ষেপ নেবে? তাই প্রথম থেকেই এই ব্যাপারে যুদ্ধংদেহী মনোভাব দেখাতে শুরু করেছেন তারা?

অনেকেই বলছেন, আসলে তৃণমূল কংগ্রেস খুব ভাল করেই জানে, তাদের দলে দুর্নীতি ছেয়ে গেছে। তাই সিবিআই নোটিশ যেতে না যেতেই এই ব্যাপারে বিরোধিতা শুরু করেছেন তৃণমূলের সকল স্তরের নেতা নেত্রীরা। আর এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট যে, তারা কোনমতেই তদন্তে সহযোগিতা করতে চাইছেন না। কেননা তাদের পেছনে একটা বড় ভয় কাজ করছে বলেই দাবি করছেন একাংশ।

বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, যদি এখানে তৃণমূল কংগ্রেস ভয় না পেয়ে সরাসরি এর বিরোধিতা না করে তদন্তের সম্মুখীন হত, তাহলে হয়ত বা গোটা বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের মুখ খোলার তেমন কোনো জায়গা থাকত না। স্বাভাবিক ভাবেই সিবিআই নোটিশ যেতে না যেতেই তৃণমূলের নেতাদের কড়া প্রতিক্রিয়া এখন নানা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে রাজ্য জুড়ে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!