এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নতিস্বীকার নয়, তৃণমূলকে ত্রিপুরা পাইয়ে দিতে লক্ষ্যভেদ পিকের! জেনে নিন!

নতিস্বীকার নয়, তৃণমূলকে ত্রিপুরা পাইয়ে দিতে লক্ষ্যভেদ পিকের! জেনে নিন!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বর্তমানে তৃতীয়বার বাংলার ক্ষমতা দখল করার পর এখন সর্বভারতীয় রাজনীতির দিকে নজর দিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একের পর এক রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের ক্ষেত্রে মনোযোগী হয়েছে তারা। সেদিক থেকে বহুদিন ধরেই তৃণমূলের চেষ্টা ছিল, ত্রিপুরা রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করার। আর এবার 2023 সালে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেখানকার সংগঠনকে যাতে চাঙ্গা করা যায়, তার জন্য বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতা দখলের পেছনে যে প্রশান্ত কিশোরের টিমের অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে, তাকেই কাজে লাগাতে শুরু করল ঘাসফুল শিবির।

ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোরের টিমের একাধিক সদস্যরা ত্রিপুরাতে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে তার পরেই তৈরি হয় সমস্যা। যেখানে করোনা ভাইরাসেই মুহূর্তে 23 জনের টিম ত্রিপুরায় আসা নিয়ে তাদের একটি হোটেলে আটক করে দেয় সেখানকার প্রশাসন। যদিও বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এর পেছনে বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হয়েছে। যাতে তৃণমূল সংগঠন বিস্তারের ঠিকমতো কাজ করতে না পারে, তার জন্যই বিজেপির পক্ষ থেকে এই চেষ্টা করা হয়েছে।

অনেকে ভেবেছিলেন, ত্রিপুরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেহেতু প্রশান্ত কিশোরের সেই টিমকে আটক করে দেওয়া হল, তাতে সেই টিম নতিস্বীকার করে তাদের কাজ বন্ধ করে দেবে। কিন্তু তা তো দূরের কথা, বরং আগামী দিনেও যে আরও বেশি করে এই সংগঠন বিস্তারের জন্য তৃণমূলকে শক্তি পাইয়ে দিতে ত্রিপুরাতে কাজ করবে প্রশান্ত কিশোরের টিম, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার ত্রিপুরার একটি হোটেলে ওঠে প্রশান্ত কিশোরের টিমের 23 জন সদস্য। যাদের মূল লক্ষ্য ছিল, ত্রিপুরাতে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিস্তার করা। কিন্তু তারপরেই ত্রিপুরার বিজেপি প্রশাসনের পুলিশ এসে তাদেরকে সেখানে আটক করে দেয়। পরবর্তীতে গোটা ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুরু হয় প্রতিবাদ। কিভাবে এই টিম তৃণমূলের স্বপক্ষে ত্রিপুরায় সংগঠন বিস্তারের কাজ করবে তা নিয়ে ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে কিছুটা হলেও সংশয় তৈরি হয়েছিল।

তবে প্রশান্ত কিশোরের টিমের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদেরকে হোটেলে আটক করে রাখা হলেও, তারা সেখান থেকেই সমস্ত রকম খোঁজখবর নিয়ে কিভাবে সংগঠনকে বিস্তার করা যায়, তার জন্য স্থানীয় নেতাদের সাহায্য করবে। অর্থাৎ কোনোভাবেই যে বিজেপি প্রশাসনের কাছে মাথা নত করা হবে না, তা বুঝিয়ে দিল প্রশান্ত কিশোরের টিম। অর্থাৎ আগামী দিনে ত্রিপুরা রাজ্য দখল যে তৃণমূলের কাছে এখন প্রধান টার্গেট, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে ত্রিপুরা তৃণমূল নেতা আশিস লাল সিংহ বলেন, “আমাদের সঙ্গে আইপ্যাকের প্রতিনিধিদের কথা হয়েছে। তারা আমাদের জানিয়েছেন, কোনো পরিস্থিতিতে তারা ত্রিপুরার কাজ থামাবেন না। হোটেলে অন্যায় ভাবে তাদের আটক করে রাখা হলেও, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য জমি তৈরির কাজের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃতীয়বার বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে ক্ষমতায় আসার রাস্তা প্রশস্ত করে দিয়েছে এই প্রশান্ত কিশোরের টিম। রীতিমতো নীচুতলার সংগঠন কেমন, সেই ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে কাকে প্রার্থী করলে জয়লাভ নিশ্চিত হবে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে খুঁটিনাটি দিক তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরেছে তারা। আর সেই মতো করেই পরিকল্পনা গ্রহণ করে তৃতীয়বার আসন নিয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

স্বভাবতই এখন তৃণমূলের টার্গেট অন্যান্য রাজ্যগুলোতে বিস্তার লাভ করা। আর সেখানেও যে প্রশান্ত কিশোরের সেই টিম বড় ভরসা ঘাসফুল শিবিরের কাছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতে সেই প্রশান্ত কিশোরের টিম যাওয়ার সাথে সাথেই তাদেরকে আটক করে রাখা হয়েছে। যার ফলে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তাদেরকে আটক করা হলেও তারা যে তাদের কাজ থামাবে না, তা জানিয়ে দিয়ে বিজেপি এবং ত্রিপুরা প্রশাসনের চাপ বাড়িয়ে দিল প্রশান্ত কিশোরের টিম এবং তৃণমূল কংগ্রেস বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!