এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নতুন ইভিএম মেশিন চালু হওয়ার খবরে রাজনৈতিক দল্গুলির অন্দরে খুশীর হাওয়া

নতুন ইভিএম মেশিন চালু হওয়ার খবরে রাজনৈতিক দল্গুলির অন্দরে খুশীর হাওয়া

এতদিন পর্যন্ত ভোটের সময় কেউ নিজের রাজ্য ছেড়ে অন্যত্র বাস করলে বা কর্মসূত্র অন্যত্র থাকলে নিজের ভোটটি তিনি দিতে পারেন না। এবার সেই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য আসছে নতুন ধরনের ইভিএম মেশিন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এই মেশিনটি তৈরি করছে আইআইটি চেন্নাই। সূত্রের খবর, ভারতবর্ষের প্রতিটি ভোট যাতে ইভিএম মেশিনে বন্দি হয় তার জন্যই নির্বাচন কমিশনের আগ্রহে নতুন ইভিএম মেশিন তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত সবটাই পরিকল্পনার জায়গায় রয়েছে। তবে আশা রাখা যায়, খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

নতুন ইভিএম মেশিনের সাহায্যে এবার থেকে আর ভোট দেওয়ার জন্য দূর থেকে এসে ভোটের লাইনে না দাঁড়ালেও চলবে। নিজের বুথ যে শহরে বা গ্রামে রয়েছে তার থেকে বহুদূর জায়গায় বসেও শুধুমাত্র প্রযুক্তির সাহায্যে ভোট দেওয়া যাবে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, নতুন ইভিএম প্রকল্পটি দেখভাল করছেন সিনিয়র ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার সন্দীপ সাক্সেনা। নতুন ইভিএম মেশিন নিয়ে সন্দীপ সাক্সেনা জানিয়েছেন, নতুন ইভিএম মেশিনে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে এবং এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে বায়োমেট্রিক ডিভাইস ও ওয়েব ক্যামেরা। তবে খুব ভালো ইন্টারনেট প্রযুক্তি না থাকলে এই মেশিনগুলি ব্যবহার করা যাবেনা বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এই মেশিনের সাহায্যে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে দেশের যেকোনো প্রান্তের যেকোন বুথের ভোটিং মেশিনে ভোট দেওয়া যেতে পারে। এদিন সংবাদ মাধ্যমে সন্দীপ সাক্সেনা জানিয়েছেন, নতুন ইভিএম মেশিনটি হল ‘টু ওয়ে ব্লক চেন রিমোট ভোটিং।’ যেকোনো ভোটারের পরিচয় সম্পর্কে এই যন্ত্রটি আগে নিশ্চিত হবে এবং তার পরেই নিজস্ব মাধ্যমেই ই-ব্যালট পেপার তৈরি করবে। যার ফলে ভোটার তাঁর এলাকায় কে কে ভোট প্রার্থী রয়েছেন, তার সম্পূর্ণ একটি ছবি পেয়ে যাবেন। তবে পুরো ব্যবস্থাটাই হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, ডিজিটাল পদ্ধতিতে নতুন ইভিএম মেশিন হওয়ার কারণে ভোটারের গোপনীয়তা সম্পূর্ণরূপে বজায় থাকবে। প্রশ্ন উঠেছে, এ ধরনের ইভিএম মেশিনে কাদের সুবিধা হবে সব থেকে বেশি?  উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যাঁরা কর্মসূত্রে অনেক দূরে থাকেন, তাঁরা ভোটের সময় নিজের কেন্দ্রে সময় ও অর্থ নষ্ট করে আসতে পারেন না। এবার থেকে উক্ত ব্যক্তি ভোট দিতে চাইলে নিকটবর্তী যেকোন ভোটিং সেন্টারে গিয়ে নিজের ভোট দিতে পারবেন। তবে অবশ্যই তার আগে এলাকার ভোটিং সেন্টারের রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে তাঁকে অনুমতি নিতে হবে।

সূত্রের খবর, রাজনৈতিক দলগুলি এ ধরনের ভোটিং মেশিনের আবেদন বহুদিন ধরেই করে চলেছেন। কারণ, কাজের সূত্রে যাঁরা বাইরে থাকেন, তাঁদের ভোট ইচ্ছা থাকলেও দেওয়ার কোনো রাস্তা ছিল না। এবার রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি পূরণের জন্যই নির্বাচন কমিশন এই ধরনের ব্যবস্থা চালু করছে বলে সূত্রের খবর। উল্লেখ্য সম্প্রতি দেশে শুরু হয়েছে ওয়ান ওয়ে ইলেকট্রনিকালি ট্রান্সমিটেড পোস্টাল ব্যালট সিস্টেম (ইটিপিবিএস) যার মাধ্যমে যাঁরা ভোটের কাজে নিযুক্ত থাকেন, অর্থাৎ সরকারি কর্মীরা বা নিরাপত্তারক্ষীরা- তাঁরা ভোট দিতে পারেন। পুরনো পদ্ধতিতে তাঁদের ব্যালট পেপারে ভোট দিয়ে পোস্ট করতে হতো। নতুন ব্যবস্থা চালু হবার পরে অবশ্য পোস্টাল ভোটের পরিমাণ বেড়েছে। প্রসঙ্গত 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে দেশে পোস্টাল ব্যালটের পরিমাণ ছিল 62 শতাংশ।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন মেশিন চালু হওয়ার ফলে রাজনৈতিক দলগুলির দাবি অনেকাংশে মিটবে। তবে ইভিএম মেশিনে ভোট দেওয়া নিয়ে কারচুপির অভিযোগও বহুবারই উঠেছে। যেসব ভোটার পছন্দের দলকে দূরে থাকার জন্য ভোট দিতে পারেননা তাঁরা এবার ভোট দিতে পারবেন। এতদিন পর্যন্ত ভোট না দিতে পারার কারণে ভোটের মার্জিন এর কিছুটা হলেও হেরফের হতো। এবার হয়তো তা আটকানো যাবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। আপাতত নতুন ইভিএম মেশিন এখনো গবেষণাগারে। তাই পুরনো পদ্ধতিতেই আগামী নির্বাচনগুলি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। নতুন মেশিন কবে আসে সেদিকে নজর রাখবে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!