এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > নতুন নেতাদের সরিয়ে পুরনোদের নিয়ে কমিটি গঠন বিজেপির, নয়া পদক্ষেপ ঘিরে অসন্তোষ গেরুয়া শিবিরে!

নতুন নেতাদের সরিয়ে পুরনোদের নিয়ে কমিটি গঠন বিজেপির, নয়া পদক্ষেপ ঘিরে অসন্তোষ গেরুয়া শিবিরে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   অন্য দল থেকে নেতা নিয়ে এসে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফুলে-ফেঁপে উঠেছিল গেরুয়া শিবির। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অন্য দল থেকে আসা নেতা-নেত্রীদের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছিল। যার জেরে ক্ষোভে বসতে শুরু করেছিল বিজেপির পুরনো নেতাকর্মীরা। যারা এতদিন দলের সংগঠনকে মর্যাদা দিয়ে এলেন এবং দলের জন্য বিভিন্ন লড়াই আন্দোলনের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন, তাদেরকে কেন মূল্য দেওয়া হল না, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন।

তবে ফলাফল প্রকাশের পর কার্যত প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, অন্য দল থেকে আসা নেতা-নেত্রীদের টিকিট দিলেই ভালো ফল করা যাবে না বাংলায়। এক্ষেত্রে বহু চেষ্টা করেও বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে পারেনি। 77 টি আসন দখল করেই নিজেদের বিজয়রথ থামাতে হয়েছে তাদের। তবে ভোটের আগে নতুন দলে আসা নেতাদের বাড়বাড়ন্ত হলেও, বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর এবার পুরনো বিজেপি নেতাকর্মীরা সক্রিয় হতে শুরু করলেন।

এক্ষেত্রে এবার একত্রিত হয়ে আসানসোলের পুরনো বিজেপি নেতা কর্মীরা রীতিমত বৈঠক করে নতুন কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরমহলে। যেখানে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি কমিটি রয়েছে, সেখানে কেন পুরনো নেতা-কর্মীরা এভাবে নতুন কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নিলেন, এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, এদিন আসানসোলের গুজরাটি ভবনে বিজেপির পুরনো নেতা-কর্মীরা একটি বৈঠক করেন। যেখানে পুরনো দুই বিজেপি নেতা বিবেকানন্দ ভট্টাচার্য এবং শংকর চৌধুরীকে মাথায় রেখে একটি নতুন কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে এই বৈঠক সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না জেলা বিজেপির সভাপতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বিজেপি নিজেদের সাংগঠনিক এবং শৃঙ্খলাপরায়ন দল হিসেবে পরিচয় দেয়। সেক্ষেত্রে পুরনো নেতা-কর্মীরা এভাবে একত্রিত হয়ে নতুন কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নেওয়ায় কি প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল না বিজেপির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা? পুরনো নেতা-কর্মীদের দাবি, পৌরসভা হোক বা বিধানসভা নির্বাচন, অন্য দল থেকে আসা নেতা-কর্মীদের টিকিট দেওয়ার জন্যই দলের এই পরিণতি। তাই এখন পুরনো নেতা-কর্মীরা একত্রিত হয়ে দলকে বাঁচানোর শপথ নিয়েছেন। আর সেই কারণেই এই উদ্যোগ।

এদিকে গোটা ঘটনায় ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। কেন এই বৈঠক হচ্ছে? এদিন এই প্রসঙ্গে আসানসোল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তথা বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই বলেন, “আমি এরকম বৈঠক সম্পর্কে অবগত নই। এই বিষয়ে আমাকে বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে হবে। তারপরই কোনোরকম মন্তব্য করতে পারব।”

পর্যবেক্ষকদের মতে, বহু চেষ্টা করেও বিজেপি এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা দখল করতে পারেনি। এক্ষেত্রে অন্য দল থেকে নেতাদের বাড়বাড়ন্ত এবং পুরনো নেতাদের গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে যে দলের এই ভরাডুবি, ইতিমধ্যেই তা পর্যালোচনায় উঠে এসেছে।স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে গোষ্ঠী কোন্দল ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। আর তার মাঝেই আসানসোলে পুরনো নেতাদের একত্রিত হয়ে নতুন কমিটি গঠন বড় সমস্যার মুখে ফেলে দিল গেরুয়া শিবিরকে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!