এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নভেল করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চূড়ান্ত সতর্কতা কর্ণাটক রাজ্য জুড়ে

নভেল করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চূড়ান্ত সতর্কতা কর্ণাটক রাজ্য জুড়ে

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা উঠেপড়ে লেগেছেন এই মারণব্যাধির প্রতিষেধক আবিষ্কার এর জন্য। তার মাঝেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে প্যানডেমিক তথা বিশ্বব্যাপী মহামারী ঘোষণা করার পরের দিনই মৃত্যুর তালিকার নাম তুলল ভারত। সুদূর চীন থেকে ক্রমশ একের পর এক দেশে ছড়াতে শুরু করেছে। করোনা ভাইরাস এর মারাত্মক সংক্রমণ ক্রমে ক্রমে এসে পৌঁছেছে ভারতে। দেশের মধ্যে করোনা ভাইরাসের প্রথম মৃত্যু ঘটেছে কর্নাটকে। বৃহস্পতিবার সেখানে 76 বছরের এক বৃদ্ধ মারা গেছেন বলে জানা গেছে।

বৃদ্ধের শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে বলে খবর। এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তৎপরতা শুরু হয়েছে কর্নাটক সরকারের। করোনা ভাইরাস যাতে রাজ্যে সংক্রমণ বাড়াতে না পারে, তার জন্য ইতিমধ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কর্নাটক সরকারের পক্ষ থেকে। গোটা দেশে এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই মুহূর্তে সংখ্যাটা 75। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে সবথেকে বেশি কেরালা রাজ্য থেকে। জানা গেছে, এখনো পর্যন্ত 17 জন কেরলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে।

অন্যদিকে কর্নাটকে পাঁচজন করোনায় আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এখনো পর্যন্ত দ্রুতগতিতে কর্নাটক সরকার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বেশকিছু সতর্কতামূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে কর্ণাটকের স্বাস্থ্য দপ্তরের স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। যাঁরা ছুটিতে ছিলেন, তাঁদের ইতিমধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের প্রথম মৃত্যু ঘটেছে কর্নাটকের কালাবুরাগী অঞ্চলে। তাই সেখানকার সমস্ত স্কুল-কলেজ এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কর্ণাটক সরকার সেখানকার পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলিতে টহলদারি বাড়ানোর জন্য। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের সমস্ত সিনেমা হল, শপিংমল, পাব এবং বিবাহ অনুষ্ঠান এক সপ্তাহের জন্য সম্পূর্ন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এক জায়গায় বেশি মানুষের সমাবেশ যাতে না হয় সে কথা বারেবারে বলা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে কর্নাটকে বিদেশি পর্যটকদের আগামী 14 দিন গৃহবন্দী থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি রীতিমতো সঙ্কটজনক তা লোকসভার স্পষ্টভাষায় জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাস নিয়ে তীব্র আতঙ্কে ভুগছে দেশবাসী তথা বিশ্ববাসী। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যে দেশবাসীকে শান্ত থাকার আবেদন জানিয়েছেন। অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারা বিশ্বের চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের একটাই দাওয়াই- আর তা হল চূড়ান্ত স্বাস্থ্য সচেতনতা। অন্যদিকে করোনার ফলে বিধ্বস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। যার ফলে এই মুহূর্তে বিশ্ব অর্থনীতিতেও দেখা যাচ্ছে খুবই খারাপ অবস্থা। আপাতত করোনা ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে ব্যস্ত বিশ্বের তাবড় চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। আর সাধারণ মানুষের একটাই প্রশ্ন, কবে মিলবে করোনা ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!