অনুদানের আনুগত্য? এবার ‘দিদির’ প্রচারে সরাসরি ময়দানে নামছে ক্লাবগুলোও? ভোটের আগে নতুন বিতর্ক তৃণমূল মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য December 4, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ক্ষমতায় আসার পর সরকারি ক্লাবগুলোকে আর্থিক সাহায্য করা নিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তাদের দাবি ছিল, তৃণমূল সরকারি ক্লাবগুলোকে অর্থ দিয়ে তাদের কিনে নিতে চাইছে। যার ফলে চাপে পড়েছিল তৃনমূল কংগ্রেস সরকার। কিন্তু এবার শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন জল্পনা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে সেই ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকে তৃণমূল নেত্রীর হয়ে প্রচারে নামছে দেখা গেল। যার ফলে বিরোধীদের অভিযোগ কিছুটা হলেও সত্যি হতে শুরু করল বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মেদিনীপুর কলেজ কলেজ-কলেজিয়েট স্কুল মাঠে জনসভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর সেই সভার আগে মুখ্যমন্ত্রী ছবি দিয়ে বড় বড় ফেস্টুন লাগাতে শুরু করেছে স্থানীয় অ্যারিয়ান্স ক্লাব। স্বাভাবিকভাবে এইভাবে ক্লাবের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে প্রচার পর্বে নেমে যাওয়ায় এখন নানা মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস অত্যন্ত চাপে পড়বে। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, গোটা রাজ্যেই তৃণমূলের ভোটব্যাংকে ব্যাপকভাবে তার প্রভাব পড়বে বলে দাবি করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে সেই পূর্ব মেদিনীপুরে তার প্রচারকে আরও জোরদার ভাবে গড়ে তুলতে ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকে ময়দানে নামা হল। অর্থাৎ সরকারের পক্ষ থেকে যখন ক্লাবগুলোকে আর্থিক অনুদান দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে, তখন ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃনমূল কংগ্রেস দলের প্রতি আনুগত্য দেখানোর চেষ্টা হল বলেই দাবি করছেন একাংশ। তাহলে কি সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সাহায্য করা হচ্ছে, তাই সরকারের প্রতি পাল্টা আনুগত্য পোষন করতেই ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকে এই প্রচার? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে সেই ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক অর্ঘ্য সাহু বলেন, “আমরা সরকারি অনুদানের জন্য এখনও আবেদন করিনি। আগে ক্লাব ঘর তৈরি হোক। প্রয়োজন হলে পরে অনুদানের জন্য আবেদন করব। আমরা বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি করি। এই অতিমারির সময় নানা কর্মসূচি করেছি। দিদির সরকার ভালো ভালো কাজ করেছে। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা দিদির প্রচার করছি।” যদিও বা বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে পাল্টা কটাক্ষ করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি সমিতি দাস বলেন, “চাওয়া-পাওয়ার জায়গা থেকে এক, দুটি ক্লাব তৃণমূলকে সমর্থন করতে পারে। তবে যুবসমাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নেই।” যদিও বা বিজেপির এই দাবিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “খেলাধুলার উন্নতিতে ক্লাবগুলোকে অনুদান দেয় আমাদের সরকার। আমাদের সরকারের কাজকর্ম ভালো লেগেছে বলেই ক্লাবগুলো নিজে থেকে প্রচারে নেমেছে।” তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যতই কথা বলা হোক না কেন, বিশেষজ্ঞরা অবশ্য তা মানতে নারাজ। তাদের দাবি, এই ক্লাবগুলো অত্যন্ত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাই তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেওয়া যায় যে তারা আর্থিক অনুদান পায়নি, তবে এই ধরনের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচার করে তারা তৃণমূল কংগ্রেস দলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভবিষ্যতে যাতে আর্থিক অনুদান পায়, তার চেষ্টা করছে বলেই দাবি সমালোচক মহলের। আর তার কারণেই সরকারের অনুগত হয়ে আনুগত্য পোষণ করে এই ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রচারে নামা হল বলে দাবি একাংশের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -