এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ভুয়ো সাফাইকর্মী নিয়ে পুরসভাতে বড়সড় চক্র? খোঁজ নিতেই সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য!

ভুয়ো সাফাইকর্মী নিয়ে পুরসভাতে বড়সড় চক্র? খোঁজ নিতেই সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য!


এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ল। “দিদিকে বলো” কর্মসূচিকে ঘিরে যখন সাধারন মানুষের কাছে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, ঠিক তখনই পৌরসভার সাফাই কর্মী নিয়ে অনিয়ম সামনে এল সকলের। জানা যায়, এদিন পূর্বঘোষণা মত এই “দিদিকে বলো” কর্মসূচিতে চুঁচুড়া পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের হেমন্ত বসু কলোনিতে যান বিধায়ক অসিত মজুমদার, পৌরসভার চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যান পারিষদ।

আর সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষের অভাব, অভিযোগ শুনতেই সেই ওয়ার্ডের সাফাই বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার বাসিন্দারা। পুরসভার হিসেব অনুযায়ী, প্রতিদিন এই ওয়ার্ডে 28 জন করে সাফাই কর্মী কাজ করেন। কিন্তু বাসিন্দারা জানান, তারা কোনদিন পুরকর্মীদের দেখতেই পান না। এদিকে এদিন বাসিন্দাদের কথা সত্যি করে তৃণমূল নেতৃত্বও 28 জনের মধ্যে মোটে চারজন কর্মীকে সেখানে কাজ করতে দেখেন।

যা দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। তড়িঘড়ি তিনি পুর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন, সুপারভাইজারকে বরখাস্ত করবার। 28 জন কর্মী বরাদ্দ করেও কেন সেখানে 4 জন কর্মী কাজ করছেন! তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বস্তুত, প্রত্যেকদিন কাজের জন্য শ্রমিকরা রোজ 190 টাকা করে পান। আর একজন সুপারভাইজার কোন ওয়ার্ডে কত শ্রমিক লাগবে, তা ঠিক করে দেন। চুঁচুড়া পৌরসভা 30 টা ওয়ার্ডে এইভাবেই প্রতিদিন নিত্যনৈমিত্তিক সাফাইয়ের কাজে চলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই এই পৌরসভার সাফাইয়ের কাজ নিয়ে অভিযোগ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আর এদিন “দিদিকে বলো” কর্মসূচিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের সেই অভিযোগ যে অত্যন্ত বাস্তব, তা হাড়ে হাড়ে টের পেল তৃণমূল নেতৃত্ব। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, চাপে পড়ে সুপারভাইজারকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। তড়িঘড়ি পৌরসভার পক্ষ থেকে সেই সুপারভাইজারকে বরখাস্ত করার কথা জানানো হয়।

কিন্তু পুর কর্তৃপক্ষ কেন এতদিন এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিল না! তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যদিও বা এরপর থেকে আচমকা বিভিন্ন এলাকায় কাজ কেমন হচ্ছে, তা নিয়ে ভিজিট করা হবে বলে জানায় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “বাসিন্দারা আমার কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে সাফাই ঠিক করে হচ্ছে না। এদিন তিন নম্বর ওয়ার্ডে গিয়েছিলাম। সেখানে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এদিন শ্রমিকদের ডাকা হয়।”

তিনি স্পষ্ট জানান, “দেখা যায়, চারজন কাজ করছেন। অথচ পৌরসভার হিসাবে এই এলাকায় 28 জন শ্রমিক দেওয়া হয়েছে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে চুঁচুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা সব ওয়ার্ডে পৃথক পৃথক পরিদর্শন করব। এভাবে টাকা তছরুপের কোনো চক্র গজিয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। যদি দোষ প্রমাণ হয়, সেই সময়ই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সমস্যা নজরে এলেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।”

তবে যে যাই বলুন না কেন, চুঁচুড়া পৌরসভায় সাফাই সমস্যা যে বড় আকার ধারণ করেছে এবং তাকে ঘিরে যে অযথা টাকা নষ্ট হচ্ছে তা এদিনের ঘটনা থেকেই পরিষ্কার হয়ে গেল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব গোটা ব্যবস্থাটি পরখ করার পর সমস্যার সমাধান হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। কিন্তু, এমনিতেই গোটা রাজ্যের সঙ্গে হুগলি জেলাতেও বহুলাংশে বেড়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে এই ধরনের ঘটনা নিয়ে আরও জোরদার প্রচার তৃণমূলকে পুরভোটের আগে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!