এবার লক্ষনচন্দ্রকে নিয়ে নতুন বিতর্কের অস্বস্তিতে ‘জয় শ্রীরামের’ গেরুয়া শিবির জাতীয় July 1, 2018 রামচন্দ্রের পর লক্ষ্মণকে নিয়ে এক নতুন কাণ্ড গেরুয়া শিবিরে। এবার উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌতে শতাব্দী প্রাচীন টিলেওয়ালি মসজিদ চত্বরে লক্ষ্মণ’র মূর্তি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিলো বিজেপি। আর তাতেই গোটা শহর উত্তাল হয়ে উঠলো। সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে নগর নিগমের তরফেই ভগবান লক্ষণের মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই লক্ষ্ণৌ’র ইসলামিক চিন্তাবিদরা রুখে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের দাবি, মসজিদ চত্বরে লক্ষণের মূর্তি স্থাপিত হলে নমাজে বিঘ্ন ঘটবে। প্রসঙ্গত শহরের এই মসজিদ সাম্প্রতিক কালের এই বিতর্কের বহু আগে থেকে খ্যাত। এই বিতর্কের মূল সূত্রপাত হয় বিজেপি নেতা লালজি টন্ডনের লেখা বই ‘অনকাহা লখনউ’ (লখনউয়ের অজানা কথা) প্রকাশের পরেই । এই বইতে লেখক দাবি করেছেন, শতাব্দী প্রাচীন টিলেওয়ালি মসজিদ আসলে ‘লক্ষণ কা টিলা। এই মন্তব্যই বিজেপি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে বলে মনে করা হচ্ছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। জানা যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকাটি বহুদিন ধরেই দেশের পুরাতত্ত্ব বিভাগের অধীনে রয়েছে। তাই তাই মসজিদ চত্বরে ভগবান লক্ষণের মূর্তি আদৌ বসবে কিনা, তার জন্য পুরাতত্ত্ব বিভাগ থেকে অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গে টিলেওয়ালি মসজিদের মৌলানা ফজল-ই-মান্নান বললেন, ঈদ এবং অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠানে বহু ইসলাম ধর্মাবলম্বী ওই মসজিদ চত্বরে নমাজ পড়েন। মূর্তি বসলে আর নমাজ পড়া সম্ভব হবে না। এদিকে লক্ষ্ণৌ’র নগর নিগমের মেয়র সংযুক্তা ভাটিয়া বললেন, “শহরে ভগবান লক্ষণের মূর্তি স্থাপিত হোক। এনিয়ে আমাদের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে একটি প্রস্তাবনা এসেছে। তবে এখনও মূর্তি স্থাপনের জায়গা নির্ধারিত হয়নি। আমাদের এখানে গঙ্গা যমুনার সংস্কৃতি রয়েছে। আমরা প্রত্যেকের আবেগকেই সম্মান করি। এনিয়ে কারও সমস্যা থাকলে বিষয়টি নিয়ে ফের পর্যালোচনা করব। ” অন্যদিকে বিজেপির মুখপাত্র মণীশ শুক্লা এই প্রসঙ্গে দাবি করে বললেন, “এই মূর্তি স্থাপন সমাজে একটা ভাল বার্তা দেবে। কেননা লক্ষণই লখনউয়ের পরিচয় বহন করছে।” আপনার মতামত জানান -