এখন পড়ছেন
হোম > Uncategorized > নয়াকৃষি আইন নিয়ে হঠাৎ কেন পিছু হটলো কেন্দ্র? গোপনকথা ফাঁস করে হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন তৃণমূল সাংসদ

নয়াকৃষি আইন নিয়ে হঠাৎ কেন পিছু হটলো কেন্দ্র? গোপনকথা ফাঁস করে হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন তৃণমূল সাংসদ


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গুরু নানকের জন্ম জয়ন্তীতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবার সময় বিতর্কিত ৩ কৃষি আইন বাতিল বলে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখন প্রশ্ন উঠেছে, যে তিন আইন নিয়ে এতদিন এতটা অনড় অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্র, আন্দোলনরত কৃষকদের হাজার ক্ষোভ-বিক্ষোভও দমাতে পারেনি, হঠাৎ করে কেন তা বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী? প্রধানমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় সরকারের এমন পদক্ষেপের কারণটি এবার জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।

আজ দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানালেন যে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে, জয় হয়েছে বিরোধী শক্তির। ভারতবর্ষে যারা মানুষকে খাদ্যের যোগান দেয়, সে কৃষকদের জয় হয়েছে। এরপর একতরফাভাবে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার আগে দশবার ভাববেন প্রধানমন্ত্রী। এই তিন কৃষি আইনের বিরোধিতা করে এসেছে তৃণমূল। তিনি জানালেন, নিজের গদি বাঁচাতেই এমনটা করেছেন নরেন্দ্র মোদী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সৌগত রায় আরও জানান, কৃষকদের স্বার্থে আঘাত করে এমন কোনো পদক্ষেপ নিয়ে কেউ টিকে থাকতে পারে না। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জোর করে কৃষকদের জমি নিতে গিয়েছিলেন, যে জন্য তাঁকে হার স্বীকার করতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী নিজের হার বাঁচানোর জন্য একটু পিছিয়ে গিয়ে এই ধরনের পদক্ষেপ নিলেন। একসময় প্রধানমন্ত্রী জেদ করে বলেছিলেন যে, আলোচনা করবেন না তিনি। এটা বিজেপির হার হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে তৃণমূল।

এ বিষয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানালেন যে, সামনের বছর পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে পরাস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ কোনোভাবেই আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলিকে দমিয়ে রাখতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। তিনটি বেআইনি কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা উপেক্ষা করে সপরিবারে আন্দোলন করেছেন কৃষকরা। তাদের উপর অবর্ণনীয় অত্যাচার করা হয়েছে। আন্দোলনে যে কৃষকেরা মারা গেছেন, তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। সংসদ ঘেরাও করার কথা বলেছিলেন কৃষকেরা, ভীতসন্ত্রস্ত মোদি সরকার তাই এই আইন প্রত্যাহার করেছে। এই জয় গোটা কৃষক সমাজের জয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!