এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নয়া মোড়! অনুব্রতকে হুমকি দেওয়া তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল আগ্নেয়াস্ত্র-কার্তুজ!

নয়া মোড়! অনুব্রতকে হুমকি দেওয়া তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল আগ্নেয়াস্ত্র-কার্তুজ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করে তাঁকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন গুসকরা পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। এই অপরাধে মঙ্গলবার প্রবীণ তৃণমূল নেতা নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলকে দেওয়া নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় কৃত খুনের হুমকির একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়ে পড়েছিল। সেই অডিও ক্লিপের ভিত্তিতেই গুসকরার বাসিন্দা জনৈক তৃণমূল কর্মী শেখ সুজাউদ্দিন প্রবীণ তৃণমূল নেতা নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের নামে মঙ্গলবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এর পরই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে, পুলিশে গ্রেপ্তারের সময় অভিযুক্ত নিত্যানন্দ বাবু জানিয়েছিলেন যে, অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী অসুস্থ থাকবার সময়ে তাঁর কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ধার করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু বারবার চেয়েও সে টাকা তিনি ফেরত পাননি, পরিবর্তে তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। গ্রেফতারের পর তাঁকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয় তাকে। গতকাল শুক্রবার নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে বর্ধমান আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আজ শনিবার দুপুরে এ বিষয়ে তদন্ত করতেই গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ অভিযুক্ত নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল। প্রসঙ্গত গুসকরা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নিতান্ত চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে বাড়িতে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী স্বপ্না দেবী। স্ত্রীকে সান্ত্বনা দেন্ নিত্যানন্দ বাবু। তাঁর স্ত্রী স্বপ্না দেবী জানান, ” আমার স্বামী দলের জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করছেন। তাকেই রাজনৈতিক কোপে পড়তে হল।”

এরপর পুলিশ নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে আগ্নেয়াস্ত্রের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি আলমারীর লকারে পিস্তল ও দেওয়াল আলমারিতে দোনলা বন্ধুকের কথা জানান। এরপর তাঁর শোবার ঘর থেকে পুলিশ একটি দো’নলা বন্দুক এবং একটি ৬ এমএম পিস্তল উদ্ধার করে, এর সঙ্গে দোনলা বন্ধুরের ২ টি কার্তুজ পুলিশ উদ্ধার করে। নিত্যানন্দ বাবু জানান, দোনলা বন্ধুকটি তাঁর বাবার আমলের। বাবার মৃত্যুর পর তিনি নিজের নাম এর লাইসেন্স করিয়েছিলেন, আবার পিস্তলটির লাইসেন্স করা হয়েছিল ১৯৮১ সালে। লাইসেন্স সমেত দুটি আগ্নেয়াস্রই আজ পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!