একরাতে ‘মার্জিন কমল’ ৪০ হাজার, নোয়াপাড়ায় কি ‘অন্তর্ঘাতের’ আতঙ্কে শাসকদল? রাজ্য February 1, 2018 ভাটাপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক অজুর্ন সিংয়ের ভগ্নিপতি সুনীল সিং যিনি আবার নোয়াপাড়ার শাসকদলের প্রার্থী আগে এথেকেই বলছিলেন যে ‘এক লাখ ভোটে জিতব!’কিন্তু জানা গেছে যে তিনি তার ঘনিষ্ঠ মহলে এদিন বলেছেন যে জিতবেন তিনিই কিন্তু ”ব্যবধান হয়তো এক লাখ হবে না। তবে এটুকু বলে রাখছি ৫০-৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে আমি জিতবই জিতব।”আর এই নিয়ে শুরু জল্পনা। কেন হঠাৎ লক্ষ থেকে হাজারে নামতে হলো শাসকদলের প্রার্থীকে।কিন্তু কেন এই আশঙ্কা ?তা নিয়েই কিন্তু রাজনৈতিকমহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কেননা সাম্প্রতিক অতীতে সবচেয়ে সফল ভোট যদি কোথাও হয়ে থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই নোয়াপাড়া। কেননা ভোটের দিন ভোট শুরু হবার প্রায় দু ঘন্টার মধ্যেই বিরোধীরা ঘরে ফিরে এসেছেন।তাই একপ্রকার বিরোধী শুন্য হয়েই ভোট হয়েছিল নোয়াপাড়াতে। তবে ? ঘনিষ্ঠ মহলের মতে ,যেভাবে ভোট হয়েছে তাতে ১ লাখের বেশি ভোটে তৃণমূল জিতছে এই ধারণাই ছিল প্রথম থেকেই কিন্তু বুথ ভিত্তিক চুলচেরা বিশ্লেষণে শাসকদলের ভেতরেই সন্দেহের বাতাবরণ তৈরী হয়েছে আর তারা ক্রমশ ‘অন্তর্ঘাতে’র আশঙ্কা কিন্তু রয়েই যাচ্ছে।সাথে শাসকদলের কপালে ভাঁজ পড়তেও শুরু করেছে।কেননা তবে তো ঘর শত্রু বিভীষণদের নিয়ে শুরু হয়েছে মাথা ব্যাথা। কেননা মঞ্জু বসু সাড়ে দাঁড়ানোর পর থেকে প্রচার ছাড়া মুকুল রায় আর কোনো কিছুর মধ্যে ছিলেন না বলেই জানা গিয়েছিলো আর তাতেও যদি এই হাল হয় তবে তো বিপদ আসন্ন। তার উপর আবার মুকুলবাবু সমেত বিজেপির কথা ছিল যে ”শাসকের একচেটিয়া সন্ত্রাসের মুখে পরাজয়টাই স্বাভাবিক। কিন্তু এতসবের পরও যদি দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা যায়, তাহলে আগামী পঞ্চায়েতে প্রচারের ‘টনিক’ হয়ে উঠবে এটাই।”সব মিলিয়ে কিন্তু নোয়াপাড়া নিয়ে জমজমাট রাজনৈতিক পরিস্থিতি চলছে। যদিও এই অন্তর্ঘাতের তথ্য মোটেও মানছেন না অর্জুনবাবু। তাঁর দাবি ওসব বাজে কথা।অন্তর্ঘাতের প্রশ্নই ওঠে না। দায়িত্ব নিয়ে বলছি- ফল বেরলে দেখবেন- বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস- তিন দলেরই জামানত জব্দ হয়ে গিয়েছে।”তবে সত্যিই কি অন্তর্ঘাত নাকি কিছুই নয় তা জানা যাবে আর কয়েক ঘন্টা পরেই। আর তার দিকেই তাকিয়ে গোটা বঙ্গ কেননা এই ভোটার ফলাফলেই দাঁড়িয়ে আছে অনেক রাজনৈতিক সমীকরণ।এখন দেখার তৈরী থাকা সমীকরণ মিলছে নাকি সব আবার উলটপালট হয়ে যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -