এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে প্রচারে দেবশ্রী, ব্যাপক বাধার সম্মুখীন, শোরগোল

নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে প্রচারে দেবশ্রী, ব্যাপক বাধার সম্মুখীন, শোরগোল


নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন যেদিন থেকে দেশজুড়ে লাগু হয়েছে, সেদিন থেকেই এই আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তৃণমূল তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আইন বিরোধিতা নিয়ে তাকে প্রথম থেকেই কটাক্ষ করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু এবার নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে প্রচার করতে গিয়ে তীব্র বাধার মুখে পড়তে হল রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীকে। আর এই ঘটনা রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলে দিল গেরুয়া শিবিরকে।

বস্তুত, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনছর সমর্থনে ইতিমধ্যেই সারা রাজ্য জুড়ে বিজেপির নেতা কর্মীরা ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে। আর তারই অঙ্গ হিসেবে গত বুধবার সকালে রায়গঞ্জের কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রা কলোনিতে সাধারণ মানুষের কাছে এই আইন সম্পর্কে বোঝাতে যান বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। আর সেখানেই লিফলেট বিলি এবং প্রচার করে বাগডোগরার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার জন্য গাড়িতে ওঠার সময়ই মহিলা এবং যুব তৃনমূলের কর্মীরা দেবশ্রীদেবীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে সাধারণ মানুষের কাছে বোঝাতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ তথা হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে যেভাবে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল, তাতে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। তবে গোটা ঘটনাকে অবশ্য রাজনৈতিক আঙ্গিকে প্রচার করে তৃণমূলকে চাপে রাখতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই ব্যাপারে তাকে বিক্ষোভ দেখানো নিয়ে সমস্ত অভিযোগ তৃণমূলের ওপরেই চাপিয়েছেন দেবশ্রী চৌধুরী।

এদিন তিনি বলেন, “তৃণমূল কাউন্সিলর অর্নব মন্ডলের পরিকল্পনামাফিক আমাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। বিরোধীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে। চতুর্দিকে আতঙ্ক এবং সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে বিরোধীরা। আমাকে ঘিরে বিক্ষোভ অপপ্রচারের ফলেই হয়েছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বোঝাতে গিয়ে বিক্ষোভের শিকার হলেন, তাতে বিজেপি অনেকটাই চাপে পড়বে। এখন বিজেপি যদি এই ঘটনায় তৃণমূলের ঘাড়ে দায় চাপায়, তাহলে পরিস্থিতি কতটা ঘুরবে! তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!