এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর যাবতীয় আশঙ্কা উড়িয়ে এনআরসি নিয়ে বঙ্গবাসীকে বড়সড় আশ্বাস দিলেন মোহন ভাগবত

মুখ্যমন্ত্রীর যাবতীয় আশঙ্কা উড়িয়ে এনআরসি নিয়ে বঙ্গবাসীকে বড়সড় আশ্বাস দিলেন মোহন ভাগবত


কিছুদিন আগেই অসমে এনআরসি চালু হয়েছে। আর তারপরই বাংলায় এনআরসি চালু করা হবে বলে সওয়াল করতে দেখা গেছে বিজেপি নেতাদের। কিন্তু তিনি বেঁচে থাকতে কোনোমতেই বাংলায় এনআরসি করতে দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি বাংলায় এই এনআরসির ব্যাপারে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আর তৃণমূল নেত্রী এই মরণপণ করে বসলেও এই ব্যাপারে ঠিকই বলছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত?

সূত্রের খবর, বর্তমানে কলকাতায় রয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে প্রথমে নাগরিকত্ব যাচাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে। তারপর জাতীয় নাগরিকপঞ্জি কার্যকর করা হবে।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে যেভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলে এনআরসি ইস্যুতে সরব হচ্ছে তৃণমূল তা যাতে আর বৃদ্ধি না হয়, তার জন্যই বিভ্রান্তি কাটাতে হাওড়ায় দু’দিনের শিবির শেষে স্বয়ং মোহন ভাগবত সঙ্ঘের কার্যকর্তাদের সামনে এই জলন্ত ইস্যু নিয়ে তাঁর মতামত জানিয়ে গেলেন। যা তৃণমূলের পালের হাওয়াকে অনেকটাই কেড়ে নিল বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

সূত্রের খবর, আগামী ১ অক্টোবর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এনআরসি নিয়ে বক্তব্য পেশ করতে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ভাগবতের নির্দেশ মেনে সঙ্ঘের সমস্ত শাখা সংগঠনগুলি এনিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রচারে নামতে চলেছে। যার মূল স্লোগান হতে চলেছে, ‘সব হিন্দু সুরক্ষিত’। কিন্তু এই নাগরিকত্ব যাচাই প্রক্রিয়া কী?

জানা গেছে, সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০১৬ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬ বর্তমানে ঝুলে রয়েছে। যে বিলে বলা আছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা সংখ্যালঘু মানুষদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। আর এর মাধ্যমেই সংসদে এই ব্যাপারে বিল নিয়ে আসতে দেখা যায় নরেন্দ্র মোদি সরকারকে। তবে সিপিএম-তৃণমূল সহ বেশ কয়েকটি দলের বিরোধিতায় তা এখনও পাশ করা যায়নি। কিন্তু দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর সবকিছু ঠিক থাকলে আসন্ন শীতে বহু প্রতীক্ষিত রাজ্যসভার সেই পূর্ণ বহুমত পেতে চলেছে মোদি সরকার। আর তারপরই আটকে থাকা এই বিল পাশ করিয়ে আইনে পরিণত করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।

সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট তিনটি দেশ থেকে শরণার্থী হিসেবে আসা হিন্দু, জৈন, শিখ, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। মোহন ভাগবতের দেখানো পথ অনুসারে তারপর এনআরসি কার্যকর করা হবে। যার মূল উদ্দেশ্যই হল, রাজ্যের সর্বত্র অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা। যেখানে মূলত বাংলাদেশ সহ কয়েকটি রাষ্ট্র থেকে আসা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পরিচয় যাচাই করা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে মোহন ভাগবত বলেন, “অত্যাচারিত হিন্দুরা হিন্দুস্থানেই থাকবে। তাঁদের মুখের ভাষা অর্থাৎ মাতৃভাষা যাই হোক না কেন, তাঁদের দেশের বাইরে যেতে দেব না।” এদিকে অসমে বাদ যাওয়া ১২ লক্ষ হিন্দুর নাম বাদ পড়া প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “শ্রদ্ধেয় ভাগবতজি স্পষ্টই জানিয়েছেন, কোনও হিন্দুর উদ্বেগের কারণ নেই।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নোট বাতিল, জিএসটি নিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। যার কোনও প্রভাব পড়েনি। একইভাবে এখন তিনি আর কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এনআরসি নিয়ে প্রচার শুরু করেছেন। কেউ দুর্ঘটনায় মারা গেলেও তার দায় এনআরসি’র উপর চাপানো হচ্ছে। আমরা হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেব এবং অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের চিহ্নিত করব।”

অন্যদিকে যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের তরফে ভাগবতের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট করা হয়েছে। শিবিরে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই নিয়ে বক্তব্য পেশ করেছেন। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হেনস্তার ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি সরসঙ্ঘ চালক।

পাশাপাশি বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান ঘিরে বাংলায় ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাওয়া এবং তার পরিসংখ্যান আরএসএস প্রধানের কাছে তুলে ধরলে মোহন ভাগবত তা নিয়ে তার সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!