এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > নাগরিকত্ব আইনের স্বপক্ষে চালু হচ্ছে নির্বাচন, ভোট কিভাবে দেবেন! জেনে নিন

নাগরিকত্ব আইনের স্বপক্ষে চালু হচ্ছে নির্বাচন, ভোট কিভাবে দেবেন! জেনে নিন

 

সংশোধিত নাগরিক আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়ে রয়েছে গোটা পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এই আইন তিনি এবং তার দল মানেন না। পাশাপাশি বাংলায় এই আইন কার্যকর করা হবে না। শুধু তাই নয়, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই রাজ্য স্তর থেকে শুরু করে একেবারে অঞ্চল পর্যন্ত সর্বত্র গণআন্দোলন সংগঠিত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, দেশ এবং রাজ্যের অধিকাংশ মানুষই সংশোধিত নাগরিক আইনের বিপক্ষে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের সেই দাবিকে প্রমাণ করার জন্য নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা গেল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ভারতীয় জনতা পার্টিকে।

জানা যাচ্ছে, টুইটারের মাধ্যমে অনলাইনে ভোট গ্রহণ করে সিএএ সম্পর্কে মানুষের মতামত জানতে চাইছে বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর শাখা। তাদের লক্ষ এই ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণের রায় নেওয়া। আর তার পরেই প্রমাণ করে দেওয়া সংশোধিত নাগরিক আইনের বিপক্ষে তৃণমূল কংগ্রেস যে প্রচার চালাচ্ছে, তার সম্পূর্ণ বিপরীত ভাবে অধিকাংশ মানুষ সমর্থন করছে এই আইনকে।

ভারতীয় জনতা পার্টির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সূত্রের খবর, টুইটারের মাধ্যমে সংশোধিত নাগরিক আইনের বিষয়ে ভোট গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই দলীয় কর্মীদেরকে টুইটারে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি।শুধু তাই নয়, ভারতীয় জনতা পার্টির যে সমস্ত কর্মী-সমর্থকদের টুইটার হ্যান্ডেল নেই, তাদেরকেও টুইটার অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এইক্ষেত্রে তাদের যদি কোনো প্রযুক্তিগত সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তবে ভারতীয় জনতা পার্টির আইটি সেল কর্মীদের সেই সাহায্য করবে বলে জানা যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আগামী সোমবার সকাল 9 টা থেকেই সারা ভারতবর্ষ জুড়ে টুইটারের মাধ্যমে সংশোধিত নাগরিক আইনের উপরে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করবে জেলা বিজেপি। এক্ষেত্রে অবশ্য ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরা যেন সংশোধিত নাগরিক আইনের স্বপক্ষে ভোটদান করেন, তার জন্য দলের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর জেলা বিজেপির এই উদ্যোগকে সমর্থন করতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বরা।

শুধু তাই নয়, এই ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যেন 3 কোটি ভোটার অংশগ্রহণ করেন এবং ব্যাপক সংখ্যক মানুষের সমর্থনে যেন এগিয়ে থাকে সিএএ স্বপক্ষে জনমত, তার জন্য রীতিমতো প্রচেষ্টা চালাতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বদের। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পাশাপাশি অন্যান্য জেলাকেও ভোটগ্রহণে অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ভারতীয় জনতা পার্টিকে 80 হাজার ভোটের লক্ষ্যমাত্রা পার করতে হবে। কিন্তু সমস্যা হল দলীয় কর্মী সমর্থক 80 হাজারের বেশি থাকলেও টুইটার একাউন্ট নেই সকল কর্মীর।

বিজেপির তরফে এদিন খোঁজ করতে গিয়ে দেখা গেছে, মেরেকেটে 100 থেকে 150 জন বিজেপি কর্মীর টুইটার হ্যান্ডেল রয়েছে। আবার নিষ্ক্রিয় রূপে রয়েছে এক হাজারেরও বেশি টুইটার একাউন্ট। জেলার গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে তাই রীতিমতো 50 জনের বিশেষ টিম গঠন করে যে সমস্ত কর্মী-সমর্থকদের টুইটার অ্যাকাউন্ট নেই, তাদের অ্যাকাউন্ট তৈরি করে দেওয়ার কাজ চালানো হচ্ছে।

পাশাপাশি নিস্ক্রিয় অ্যাকাউন্টগুলোকেও সচল করার কাজ চলছে বলে খবর। মূলত দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিক আইনের সমর্থনে একই সময় টুইটারের মাধ্যমে জনমত গ্রহণ করতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি। জানা যাচ্ছে, “হ্যাশট্যাগ ইন্ডিয়া সাপোর্টারস সিএএ” নামক এই নতুন পেজের মাধ্যমে গোটা দেশে ভোট চালাবে জেলা বিজেপির আইটি সেল। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রচার চালাতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বকে।

হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে এবং ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে সমস্ত দলীয় কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারীদেরকেও ভোটগ্রহণে অংশগ্রহণ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এদিন এই বিষয়ে দক্ষিন রাজপুর জেলা বিজেপির আইটি সেলের কনভেনার উৎপল মণ্ডল বলেন, “জেলা থেকে 80 হাজার ভোট করা হবে। যেহেতু এত জনের কাছে টুইটার অ্যাকাউন্ট নেই, তাই আমরা কর্মীদের নিয়ে বসে একাউন্ট খুলে সঙ্গে সঙ্গে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়া সেল অথবা আইটি সেল কিন্তু অনেক বেশি শক্তিশালী। বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গের তথা ভারতবর্ষের অন্যান্য সমস্ত রাজনৈতিক দলের মিডিয়া সেলের থেকে বেশি শক্তিশালী বিজেপির আইটি সেল। গত 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে সাংগঠনিক বিস্তার কম থাকাতে জনগণের মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির স্বপক্ষে হাওয়া তৈরি করতে যথেষ্ট বড় ভূমিকা পালন করেছিল বিজেপির আইটি সেল।

আর এবার যখন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টির বিপক্ষে সংশোধিত নাগরিক আইন নিয়ে জনগণের মধ্যে প্রচার অভিযান চালাচ্ছে, সেই সময় নিজেদের দলের আইটি সেলকে সামনে নিয়ে এসে কার্যত সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট অ্যাক্টের স্বপক্ষে মানুষের সমর্থন যে কতটা বেশি, তা দেখাতে মরিয়া হয়েছে গেরুয়া নেতৃত্ব বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!