এনআরসি আতঙ্কে আখেরে কি লাভ হচ্ছে বিজেপিরই ? জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে জাতীয় October 18, 2019 গোটা দেশে বিজেপি হিন্দুদের নিয়ে রাজনীতি করে বলে বিজেপিকে “সাম্প্রদায়িক” আখ্যা দিতে দেখা গেছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। তবে বরাবরই বিজেপির তরফে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু এনআরসি ইস্যুতে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে মুসলিম সমাজের মধ্যে বিজেপিকে কেন্দ্র করে যে অনীহা বাসা বেঁধেছিল, তা কি ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করেছে! এনআরসিকে কেন্দ্র করে এখন কি বিজেপিই লাভ করতে শুরু করেছে! এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে সর্বত্র। বস্তুত, অসমে এনআরসি লাগুর পর গোটা দেশে কিছুটা হলেও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি বিজেপি নেতাদের কথায় শোনা যাচ্ছে, সারাদেশেই এই এনআরসি চালু হবে। আর এই এনআরসির জন্যই এবার মুসলিমদের একাংশ কি বিজেপিতে নাম লেখাতে শুরু করেছেন! এখন এই গুঞ্জনই সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। জানা গেছে, অসমের সাড়ে তিন কোটি বাসিন্দার মধ্যে প্রায় এক কোটির মত মুসলমান ছিলেন। কিন্তু সেখানে এনআরসি চালু হওয়ার পরই 6 লক্ষ মুসলিম বাসিন্দা বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণের ব্যাপারে আবেদন জানিয়েছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই এনআরসি চালু করে একদিকে বিজেপির লাভই হল। তারা যেমন অনুপ্রবেশ বন্ধ করবেন বলে গর্জে উঠলেন, ঠিক তেমনই এনআরসি চালুর ফলে সংখ্যালঘুদের একটা বিরাট অংশ তাদের দিকে চলে এল। যা তাদের ভোট রাজনীতিতে অত্যন্ত ভাল প্রভাব ফেলবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব হজ কমিটির চেয়ারম্যান হামিম কুতুব জাভেদ আহমেদ বলেন, “অসমের বরাপেটা, ধুবড়ি, গোয়ালপাড়া, নওগায় চোখে পড়ার মতো বিজেপির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই এলাকাগুলোতে মূলত বাঙালি মুসলমানরা থাকেন। অসমের মুসলিম বাসিন্দারা এখন মনে করতে শুরু করেছেন বিজেপিতে যোগ দিলেই এনআরসিতে তাদের নাম সুনিশ্চিত হবে।” তবে শুধু অসমে নয়, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটকেও মুসলিম সমাজের মানুষদের বিজেপিতে যোগদানের প্রভাব আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে খবর। আর এত দিন বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক দল বলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো আখ্যা দিলেও এবার এনআরসি ফলে সেই বিজেপিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা যোগ দিতে শুরু করলে একদিকে যেমন বিজেপির ভোটব্যাংক বৃদ্ধি পাবে, ঠিক তেমনই বিরোধীদের অভিযোগকে বিজেপি এক নিমিষেই খন্ডন করতে পারবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -