এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > NRC নয়, উপনির্বাচনে দলের ভরাডুবির ৩ ‘মহা কারণ’ খুঁজে পেল বঙ্গ বিজেপি! ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা

NRC নয়, উপনির্বাচনে দলের ভরাডুবির ৩ ‘মহা কারণ’ খুঁজে পেল বঙ্গ বিজেপি! ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা


 

লোকসভা ভোটে ভালো ফল করার পরেও খড়্গপুর সদর, কালিয়াগঞ্জ, করিমপুর — এই তিন বিধানসভার উপনির্বাচনে ভরাডুবি স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির অন্দরে প্রশ্ন তুলেছিল। কিন্তু তখন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপি নেতৃত্ব এই বিপর্যয়ের কারণ হিসাবে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসিকেই দায়ী করেছিলেন। কিন্তু সত্যি কি তাই ?

তাই আসল কারণ খুঁজতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃ্ত্ব রাজ্যের তিন সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঞ্জয় সিংহকে ওই ফলের কারণ বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। জানা যাচ্ছে এই নিয়েই দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং আর এক নেতা শিবপ্রকাশের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠক করেন তিন সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঞ্জয় সিংহ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই বৈঠকে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, লোকসভায় ১৮টি আসন জয়ের পর দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অতি আত্মবিশ্বাস এবং আত্মতুষ্টি এসে গিয়েছিল। তার ফলে তিন কেন্দ্রেই প্রচারে ঢিলেমি ছিল। বিপরীতে, তৃণমূল লোকসভার ক্ষতি মেরামতে বাড়তি নজর দিয়েছিল। এ ছাড়া, অপছন্দের প্রার্থীকে নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল যার জেরেই এই পরাজয়। আত্মতুষ্টি, প্রচারে ঢিলেমি এবং প্রার্থী নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই উপনির্বাচনে হারের মূল কারণ।

তাদের পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, খড়্গপুর সদরে প্রার্থী প্রেমচন্দ ঝা’কে সাধারণ মানুষ এবং দলের অনেকেই পছন্দ করেননি। ফলে দলের একটা অংশ প্রচারেই নামেনি। সাথেই বিজেপি প্রার্থী জেতার দিকে তারা নজরও দেয়নি। কালিয়াগঞ্জে লোকসভা ভোটে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও উপনির্বাচনে বড় নেতাদের জনসভায় প্রার্থীকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে সেই কারণেই তিনি পাড়ায় পাড়ায় প্রচারে যথেষ্ট সময় দিতে পারেননি।

ওই কেন্দ্রে এনআরসি নিয়ে তৃণমূল-সহ বিরোধী বিরোধীরা যে প্রচার চালিয়েছে তাকেও পাল্টা দিতে পাড়া যায়নি। করিমপুরে স্থানীয় ১০ জন প্রার্থী হতে চেয়ে পারেননি। ফলে প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের প্রচারেও গোষ্ঠীকোন্দল দেখা দিয়েছিলো।যদিও এই নিয়ে দিলীপবাবু বলেন, ”আমি ওই বৈঠকে ছিলাম না। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!