এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রাষ্ট্রের স্বার্থেই এনআরসি দরকার! উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রাষ্ট্রের স্বার্থেই এনআরসি দরকার! উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী


 

অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তালিকা প্রকাশ্যে আসার পরেই সারা দেশে এনআরসি হবে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। অসমের পর বাংলার বিজেপি নেতারা দাবি করতে শুরু করেছিল, এবার তারা বাংলাতে এনআরসি করবেন। কিন্তু বরাবরই এনআরসির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী থাকতে কখনই এনআরসি হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃনমূলের হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রীরা।

আর রাজ্যের আসন্ন 3 কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে এই এনআরসিকে হাতিয়ার করেই রীতিমতো প্রচার পর্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল শাসক-বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছিল, বিজেপি এনআরসির ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে দ্বিধা বিভক্ত করতে চাইছে।

অন্যদিকে এনআরসির ফলে প্রকৃত মানুষেরা কেউ বাদ যাবে না। বরঞ্চ অনুপ্রবেশকারীরা বিতাড়িত হবেন বলে দাবি করেছিল গেরুয়া শিবির। আর এই পরিস্থিতিতে কালিয়াগঞ্জ, করিমপুর এবং খড়গপুর বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে কালিয়াগঞ্জে এসে সেই এনআরসির পক্ষেই সওয়াল করতে দেখা গেল ত্রিপুরার বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কমল চন্দ্র সরকারের সমর্থনে সেখানে প্রচারে আসেন ত্রিপুরার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী। আর প্রচারে এসে এনআরসির বিরোধিতা করা তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিপ্লববাবু।

রায়গঞ্জের একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পড়াশোনা করেন না। হুজুগে কথা বলেন। আমার দেশের দরজা সবার জন্য সবসময় খুলে দেব, তা তো হতে পারে না। রাষ্ট্রের স্বার্থেই এনআরসি দরকার।” আর বিপ্লববাবুর এহেন মন্তব্য প্রচারের শেষ দিনে সমস্ত রাজনৈতিক তরজাকে আরও বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। তবে শুধু এনআরসি ইস্যুতেই নয়, এদিন রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্কের অবনতি, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের বিরোধিতা করা নিয়েও তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তোলেন বিপ্লব দেব।

তিনি বলেন, “এই রাজ্যটাকে বাংলার মহিলা মুখ্যমন্ত্রী পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের ভালো জনমুখি প্রকল্প রূপায়ণ করছে না রাজ্য সরকার। মানুষের উন্নয়ন নিয়ে এভাবে কেউ ছেলেখেলা করতে পারে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাংলার সুনাম নষ্ট করছেন। আমার রাজ্যের 37 লক্ষ মানুষের মধ্যে 24 লক্ষ মানুষকে আমরা আয়ুষ্মান প্রকল্পে যুক্ত করেছি। তারা দেশের যে কোনো প্রান্তে গিয়ে চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ পাবেন। কিন্তু এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ক্রমশ বাংলাকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।”

এদিকে রাজ্য- রাজ্যপাল সম্পর্ক নিয়ে এদিন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যপাল রাজ্যের অভিভাবক। রাজ্যের উন্নয়নে রাজ্যপালের পরামর্শ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাজ করা উচিত। আমি একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনে করি, রাজ্যপালের কাছে যাওয়া, তার সহযোগিতা খুবই দরকার।”

অন্যদিকে আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে তিনি রাজ্যের প্রচারে একটা বড় সময় থাকবেন জানিয়ে কালিয়াগঞ্জে বিজেপি প্রার্থীই জয়ী হবে বলে আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাব পোষণ করেন ত্রিপুরার বিপ্লব দেব। তবে বিপ্লব দেবের এত কিছু মন্তব্যের মধ্যে সবথেকে বেশি নজর কেড়েছে এনআরসি নিয়ে তার মন্তব্য‌। কেননা সীমান্তবর্তী উত্তর দিনাজপুর জেলার এই কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে সব দলই যে এনআরসি ইস্যুকে হাতিয়ার করতে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই।

তাই এই পরিস্থিতিতে সেই এনআরসিকে হাতিয়ার করে তৃণমূল যখন বিজেপির বিরোধিতা করছে, ঠিক তখনই রাষ্ট্রের স্বার্থে এনআরসি দরকার বলে শেষ মুহূর্তের প্রচার করার চেষ্টা করলেন ত্রিপুরার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এখন এনআরসির পক্ষে নাকি, বিপক্ষে ভোটবাক্সে সাধারণ মানুষ তাদের মত পোষণ করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!