এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘেরাও, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা!

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘেরাও, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা!


নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। প্রথম থেকেই কেন্দ্রের এই আইন লাগু হওয়ার পর থেকেই সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সাম্প্রতিক কালে এই আইনের বিরোধিতা করতে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। বস্তুত, এই নাগরিকত্ব আইন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা সফরের বিরোধিতায় গত শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘেরাও এবং ধর্মতলা অবরোধ করে রাখা হয়েছিল। যার পরিপেক্ষিতে এবার সেই সমস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা রুজু করল কলকাতা পুলিশ।

জানা গেছে, সোমবার হেয়ার স্ট্রেট থানায় দেড়শ জন অজ্ঞাতপরিচয় আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। কিন্তু প্রথম থেকেই যেখানে এই নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনের ওপর পুলিশের দমন-পীড়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে কেন পুলিশ এভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন! তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তাহলে কি আন্দোলনকে একদম শেষ করে দিতেই সরকারের এহেন কঠিন মনোভাব? পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আন্দোলনকারীদের শিক্ষা দিতে নয়, নিজেদের পিঠ বাঁচাতেই এই মামলা রুজু করা হয়েছে। অনেকে বলছেন, আদালতে মামলা হলে লালবাজারের কর্তারা এটা বলতে পারতেন যে, পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল না। হবে প্রায় সব ঘটনাতেই যেভাবে পুলিশ আন্দোলনকে দমানোর জন্য লাঠিচার্জ এবং দমন-পীড়নের নীতি নিতে শুরু করেছে, তাতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সব মহলেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, যাদবপুরে পুলিশের লাঠিচার্জের পরে প্রশাসনের একদম শীর্ষ স্তর থেকে এই ব্যাপারে লালবাজারের কাছে ফোন গিয়েছিল। আর তারপরেই সেই লাঠিচার্জ করার নির্দেশ দেওয়া পুলিশ অফিসার সুদীপ সরকার প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছিলেন। তাই সেদিক থেকে আবার মামলা রুজুর নীতি কেন! তার ব্যাপারে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তাই প্রথম থেকেই আন্দোলনকারীরা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ায়, তাদের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, “মমতার নেতৃত্বে যাতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন হয়।” বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, রাজ্য সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের ওপর পরোক্ষে চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে। কিন্তু তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান বিরোধী মুখ। তবে বিভিন্ন দিক থেকে এই আইনের বিরুদ্ধে নানা আন্দোলন চলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন কিছুটা হলেও ভাটা পড়তে পারে বলে মনে করেছিল শাসকদল।

আর তাইতো আন্দোলনকারীদের ওপর কোনো হিংসা যাতে না হয়, তার জন্য বার্তা দিলেও, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আন্দোলন যাতে শ্রেষ্ট আকার ধারণ করে, তার জন্যই পরোক্ষে অন্যান্য আন্দোলনকারীদের ওপর শাসক দলের তরফে পুলিশের কাছে লাঠিচার্জের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছে একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!