দিল্লির বৈঠকে না যাওয়া, এনআরসি বিরোধিতা নিয়ে মমতাকে আক্রমণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর, জোর চাঞ্চল্য! কলকাতা জাতীয় রাজ্য January 18, 2020 নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হওয়ার পর থেকেই তার চরম বিরোধিতা করা শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনোভাবেই তিনি বাংলায় এনআরসি হতে দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি এই আইন বাতিলের দাবিতে পদযাত্রা সভা-সমিতিতে লাগাতার অংশ নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাকে কেন্দ্র করে বিজেপির তরফ সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি তার অবস্থান থেকে সরছেন না। সম্প্রতি এনআরসি বিরোধীতার পর দিল্লিতে ঢাকা এনপিআর নিয়ে বৈঠকে না যাওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। যা নিঃসন্দেহে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বনাম কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির মধ্যেকার দ্বৈরথকে আরও চরম করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আইন নিয়ে বিরোধিতা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন কলকাতায় এসে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “যারা এই আইনের বিরোধিতা করছেন তারা আইনে একটি শব্দ বা লাইন দেখান, যেখানে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা আছে! যদি তা না থাকে তাহলে কিসের বিরোধিতা! বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি, তিনি রাজ্যে ভালো কাজ করতে পারছেন না। নেতাদের দুর্নীতি থেকে সাধারণ মানুষের নজর ঘোরানোর জন্যই তিনি এসব করছেন। যেসব মুসলিম এদেশে আছেন, তারা যেমন আছেন, তেমনই থাকবেন। আসলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে যারা অত্যাচারিত হয়ে এখানে এসেছেন, তাঁদের পরিবারকে সেখানে বেইজ্জত করা হয়েছে। তাদের এখানে নাগরিকত্ব দেওয়া হোক, এটা চান না মমতা এবং বিরোধীরা। আগে বিরোধীরা সেসব দেশের নাগরিকত্বের কথা বলতেন। এখন মোদি সরকার যখন তা করছে, তাহলে আজ কেন তারা তার বিপক্ষে গেলেন! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্যাপারে চুপ। তাহলে কেন এই বিরোধিতা! বৌদ্ধ, জৈন, পারসিক এখানে নাগরিকত্ব পান, তা এনারা চান না।” পাশাপাশি এনপিআর নিয়েও নিজের মত প্রতিষ্ঠা করে বিরোধীদেরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, “এনপিআর 2010 সালে আনা হয়েছিল। তখন কংগ্রেস, মমতা, অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা তার বিরোধিতা করেননি। তাহলে আজ তার বিরোধিতা কেন! কোনো ব্যক্তি যদি ছয় মাস বা তার বেশি এদেশে থাকতে চা,ন তাহলে তার সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে অসুবিধা কোথায়! কোনো দেশের সরকারের কি সেই সংক্রান্ত তথ্য জানার অধিকার থাকতে পারে না! তাহলে তো বিশ্বের কাছে দেশের সীমান্তগুলিকে খুলে দিতে হয়।” আর কলকাতায় এসে কেন্দ্রের মন্ত্রীর নাগরিকত্বের বিরোধিতা নিয়ে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তুলে দেওয়া এই প্রশ্নে যে বিরোধীরা কিছুটা হলেও বিপাকে পড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। তবে এদিন বিরোধীদের বিরোধিতা নিয়ে খোঁচা দেওয়াই নয়, রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত নিয়েও মুখ খোলেন অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, “এই রাজ্যে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বা পদ সম্পর্কে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা চলছে। কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রাজনীতির আড্ডাখানা তৈরি করে ফেলেছেন। তারা আগ্রহী পড়ুয়াদের সেখানে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছেন।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বুঝতে বাকি নেই যে রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকারের এই খারাপ সম্পর্কের সময় মুখ খুলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকেই কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রের এই মন্ত্রী। তবে গোটা পরিস্থিতি এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়! কেন্দ্রের মন্ত্রীর এহেন কটাক্ষের জবাবে রাজ্যের তরফে কোনো বিবৃতি আসে কিনা! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -