নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় অশান্তি নিয়ে মুখ খুললেন মুকুল রায়, কি বললেন! জেনে নিন কলকাতা রাজ্য January 4, 2020 নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন দেশে লাগু হবার পর থেকেই সারা দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে। যেখানে সেই বিক্ষোভ কখনও বাস পুড়িয়ে দেওয়া, আবার কখনও বা ট্রেন আটকে দেওয়ার মতো ঘটনাকেও সাক্ষী করে রেখেছে। যার ফলে অনেক জায়গাতেই সেই ভয়ানক বিক্ষোভ চরম অসুবিধার সম্মুখীন করেছে সাধারন মানুষকে। তবে প্রথম থেকেই এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করা তৃণমূল কংগ্রেস এই অশান্তি সংগঠিত করা বিক্ষোভকে শান্তিপূর্ণভাবে করবার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তা গণতান্ত্রিক বিক্ষোভের রুপ নেয়নি। উল্টে যত দিন গিয়েছে, তা অগণতান্ত্রিক বিক্ষোভে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এবার এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে যখন দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তার প্রবল বিরোধিতায় সরব হয়েছে, ঠিক তখনই এই ব্যাপারে মুখ খুললেন বঙ্গ বিজেপির চাণক্য মুকুল রায়। সূত্রের খবর, এদিন তিনি বলেন, “পাকিস্তানকে যদি ইসলামিক রাস্ট্র না করা হত, তাহলে এই গন্ডগোল হত না।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শুধু তাই নয়, দেশজুড়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় প্রচার করে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে বলেও দাবি করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যুর বিরোধিতায় পথে নামাকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দিয়ে মুকুলবাবু বলেন, “কোথাও বলা নেই যে, মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে। আমরা বরং এর ফলে কিছু মানুষকে নাগরিকত্ব দিচ্ছি। তৃণমূল মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজের দলকে স্ফিত করার জন্য এসব বলছেন।” এদিকে সম্প্রতি ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী দিয়েও যেভাবে তাদের হারতে হয়েছে, তা নিয়েও নিজের প্রাক্তন দলকে কটাক্ষ করেন মুকুল রায়। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়খন্ডে নাচানাচি করলেন। 24 টি আসনে প্রার্থী দিলেন। কিন্তু সব কটিতেই তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হওয়ার পর থেকেই তৃণমূল সহ অন্যান্য বিজেপি বিরোধী দলগুলো লাগাতার প্রচার করতে শুরু করেছে। যার ফলে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে এবার বিজেপি যেভাবে এর স্বপক্ষে ময়দানে নামতে শুরু করেছে এবং যেভাবে তৃণমূলের প্রাক্তন সৈনিক মুকুল রায় তৃণমূলের বিরোধিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাতে তৃণমূল কিছুটা হলেও কোণঠাসা হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি ঠিক কোথায় গিয়ে মোড় নেয়! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -