এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > NRC নিয়ে বাংলার দুশ্চিন্তা কমাতে ১৯৫২ থেকে ৭১ পর্যন্ত ভোটার তালিকা মিলবে এবার অনলাইনেই!

NRC নিয়ে বাংলার দুশ্চিন্তা কমাতে ১৯৫২ থেকে ৭১ পর্যন্ত ভোটার তালিকা মিলবে এবার অনলাইনেই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –কয়েক মাস আগেই এনআরসি ও সিএএ নিয়ে উত্তাল হয়েছিল দেশের বেশ কিছু রাজ্য। শুরু হয়েছিল ক্ষোভ- বিক্ষভ। এরপর করোনা সংক্রমণ তাদের বিক্ষভে অনেকটাই জল ঢেলে দেয়। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য আসামে নাগরিক পঞ্জি এনআরসি নিয়ে বেশ কিছু মানুষকে যেরকম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল, তা মনে করলে অনেকেরই রাতের ঘুম চলে যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন করোনা পরিস্থিতি ঠান্ডা হলেই আবার এনআরসি, সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার আবার সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।

আর একবার যদি কোনভাবে নিজের নাম নাগরিক পঞ্জী থেকে বাদ চলে যায়, তাহলে যে কি বিড়ম্বনায় পড়তে হয়, তা বলাই বাহুল্য। শেষ পর্যন্ত বঙ্গবাসীর এই দুশ্চিন্তা দূর করতে দায়িত্ব নিল রাজ্য সরকার ।রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এখন থেকে ভোটার তালিকার সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য রাজ্যের সংরক্ষণাগার স্টেট্ আর্কাইভসে পাওয়া যাবে। রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা ওয়েবেলের সহযোগিতায় এই দুরহ কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।

রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপটি সফলভাবে করা সম্ভব হয়েছে বলে রাজ্য সরকার তরফ থেকে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত স্বাধীনতার পর ১৯৫২ সালে দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৫২ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত নাগরিকদের সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা স্টেট্ আর্কাইভসের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।

এই কাজটি সম্পন্ন করেছে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের অধীনস্থ স্টেট্ আর্কাইভস। সরকারি এই সংস্থার ওয়েবসাইটে গেলেই ভোটার তালিকার কপি পাওয়া যাবে। সেখান থেকেই এই কপি ডাউনলোড করতে পারবেন সাধারণ মানুষ নিজের বাড়িতে বসেই। ডাউনলোড করার পর এই কপি কোন গেজেটেড অফিসারকে দিয়ে অ্যাটেস্টেড করিয়ে নিলেই বৈধ বলে ঘোষিত হবে।

এ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা স্টেট আর্কাইভ সংস্থার ডিরেক্টর ডঃ সীমন্তী সেন গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছেন যে, এনআরসি বা সিএএর মতো বিষয়গুলি নিয়ে যখন মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা যায়নি। সেসময়ও অনেকে পুরোনো ভোটার তালিকার বিষয়ে জানতে তাদের দপ্তরে যাতায়াত করতেন। সে ক্ষেত্রে পুরনো ভোটার তালিকা থেকে তারা নিজের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করতেন। এরপর যখনই দেশে এনআরসি সিএএ নিয়ে শোরগোল শুরু হল, তখনই মানুষের মধ্যে এই নথিপত্র জানতে আসার পরিমাণ ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেল। বহু দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসতে শুরু করলেন এই সংস্থায়।

কারণ, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, নাগরিকপঞ্জিতে নাম থাকতে হলে, দেশের নাগরিকদের প্রমাণ পত্র হিসেবে জমি-বাড়ির দলিলের সঙ্গে সঙ্গে ১৯৭১ সালের পূর্বের পূর্বপুরুষদের রাজ্য ভোটার তালিকায় থাকা নামের নথি জমা করতে হবে। আর স্বাধীনতার পর থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সমস্ত ভোটার তালিকা একমাত্র এই সংস্থার দপ্তরেই পাওয়া সম্ভব। কিন্তু সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতির ফলে বহু মানুষের পক্ষেই কোলকাতায় আসা সম্প্রতি সম্ভব হচ্ছে না। তাই তাদের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করেই এই বিশেষ পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা স্টেট্ আর্কাইভস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে স্টেট্ আর্কাইভসর ডিরেক্টর ডঃ সীমন্তী বলেছেন, ” মানুষের চাহিদা দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিই ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সব ভোটার তালিকা আমরা ডিজিটাইজড করে ওয়েবসাইটে আপলোড করব। ‘ওয়েবেল’-এর সঙ্গে কথা বলে সেই মতো কাজ শুরু হয়। কোভিড আবহের মধ্যেও কাজ করা হয়েছে। আপলোডের কাজ এখনও চলছে নিয়মিত।

তবে মানুষ আর্কাইভস-এর ওয়েবসাইট (www.sadte.gov.in)-এ ক্লিক করে ‘ওল্ড ইলেকট্রোরাল রোলস’ শীর্ষক নতুন বিভাগটি দেখলেই তাঁদের চাহিদার নথি পেয়ে যাবেন। প্রয়োজনীয় নথির প্রিন্ট আউট বের করে সেটি স্থানীয় কোনও গেজেটেড অফিসারকে দিয়ে অ্যাটেস্টেড করিয়ে নিলেই নাগরিকপঞ্জি সংক্রান্ত আবেদনপত্রের ক্ষেত্রে প্রয়োজন মিটবে।”

ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য সরকারের এই অভিনব পদক্ষেপকে যথেষ্ট প্রশংসা করলেন বামপন্থী বিরোধী দল নেতা সুজন চক্রবর্তী। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, রাজ্যবাসী পুরনো ভোটার তালিকা স্টেট আর্কাইভসের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে তারা মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিকবার পত্র দিয়েছিলেন। কিছুটা বিলম্বে হলেও মুখ্যমন্ত্রী তাদের দাবি পূরণ করায় তারা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!