এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এনআরসি নিয়ে বড়সড় ঘোষণা প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের – জানুন বিস্তারিত

এনআরসি নিয়ে বড়সড় ঘোষণা প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের – জানুন বিস্তারিত

লোকসভা ভোটের পর থেকেই কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্ব এনআরসি নিয়ে তৎপর হয়েছে। এনআরসি বা নাগরিক পঞ্জিকার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছিল আসাম থেকে। এনআরসি হওয়ার পর দেখা যায় আসাম থেকে 19 লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। যার মধ্যে 11 লক্ষ হিন্দু বলে দাবি করা হয়েছে। ঘটনায় সারা দেশ জুড়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়।

তবে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি ছিল, এনআরসি নিয়ে যেকোন সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানেই নেওয়া হয়েছে আর এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে সমর্থন করে এনআরসি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ মুখ খুললেন।

এদিন রঞ্জন গগৈ জানিয়েছেন, অসমে এনআরসি নিয়ে যে চূড়ান্ত খসড়া তৈরি হয়েছিল, তা কোনো নথি নয়, এনআরসির মাধ্যমে শুধুমাত্র অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা জানাই উদ্দেশ্য ছিল। এ সম্পর্কে এদিন একটি বই প্রকাশ হয়। রঞ্জন গগৈ এর লেখা বইটির নাম post-colonial অসম।

এদিন এনআরসি নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, এনআরসি এমন একটি ব্যবস্থাপনা হয়েছে যেখানে সংখ্যার পরিমাপ দিয়ে কোন কিছু বোঝানো যাবে না। তবে এনআরসিকে তিনি ভবিষ্যতের দলিলের ভিত্তি বলে বর্ণনা করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ সংবাদমাধ্যমের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে সংবাদমাধ্যমের দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রতিবেদনের মাধ্যমে দেশজুড়ে অশান্তি ছড়িয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্যই এনআরসির উত্থাপন হয়েছে।

ইতিমধ্যে অসমে এনআরসি তালিকা বা নাগরিকপঞ্জি তালিকা প্রকাশ হয়েছে। আর সেখানে 3.30 কোটি আবেদনকারীর মধ্যে 19 লক্ষ কে বাদ দেওয়া হয়েছে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী যারা বাদ গেছেন তারা যদি সার্টিফাইড কপি নিয়ে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন, এবং তার সাথে যুক্তিযুক্ত কারণ দেখান ও প্রমাণ করেন 1971 এর 24 শে মার্চ এর আগে তাঁরা এই দেশের নাগরিক ছিলেন, তাহলে পুনরায় তাঁদের আবেদন বিচারযোগ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।

তবে বিজেপি প্রথম থেকেই এনআরসির দাবিতে অনড় ছিল। এবং এখনও পর্যন্ত আছে। প্রথম থেকেই বিজেপি বলে আসছে এনআরসি হলো অনুপ্রবেশ আটকানোর একমাত্র হাতিয়ার। অনুপ্রবেশের ফলে প্রতিবেশী দেশ থেকে যে কেউ অনুপ্রবেশ করে সন্ত্রাসবাদি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে এই দেশে। তা বন্ধ করতে প্রয়োজন একমাত্র এনআরসির।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিরোধীরা ক্রমাগত প্রতিবাদ জানিয়ে চলেছে। আপাতত অসময়ে নাগরিক পঞ্জি তালিকার পরিশোধন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কি নির্দেশ দিতে চলেছে, সেদিকেই নজর রাখছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!