এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > এনআরসির পক্ষের সভা থেকে রাজ্য বিজেপি সভাপতির তীব্র হুঁশিয়ারি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের

এনআরসির পক্ষের সভা থেকে রাজ্য বিজেপি সভাপতির তীব্র হুঁশিয়ারি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে ইতিমধ্যে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গও পিছিয়ে নেই। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতায় মহা মিছিল শুরু হয়েছে। সেখানে দলীয় সমর্থকদের সঙ্গে পা মিলিয়ে রীতিমতো তুলোধোনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদি সরকারের। নাগরিকত্ব আইন এর প্রতিবাদের মিছিল কলকাতা পেরিয়ে সারা পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এবার পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের এনআরসি নিয়ে বোঝাতে বিজেপি বিশেষ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে বিজেপির পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এনআরসি সাপোর্ট করে বিভিন্ন সভা এবং মিছিল হওয়া শুরু হয়েছে। এ রকমই একটি সভা থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বক্তব্য রাখলেন।

সোমবার কৃষ্ণনগরে ছিল বিজেপির এনআরসির পক্ষে মিছিল ‘অভিনন্দন যাত্রা’। এই যাত্রা শেষে বিজেপির সভায় বক্তৃতা রাখেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ভারতবর্ষে যে 50 লক্ষ অনুপ্রবেশ মুসলিম অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে তারা কোনমতেই ভারতে থাকতে পারেন না। এদেরকে বেরিয়ে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, এনআরসি হবে কিনা তা তার জানা নেই তবে এসব অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, সরকারি সমস্ত সুযোগ সুবিধা তাদেরকে যা দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো সব কেড়ে নেওয়া হবে। দিলীপ ঘোষ আরো বলেন, মুসলিম অনুপ্রবেশকারীরা বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা এখানে ভোগ করছে, যেগুলি এই দেশের ভূমিপুত্রদের অধিকার।

সিএএ নিয়ে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সিএএ চালু হবে। এখানে প্রত্যেকটি উদ্বাস্তু মানুষ নাগরিকত্ব পাবে। তিনি বলেন, 100 দিনের মধ্যে ফর্ম ফিলাপ করতে হবে, তাহলেই নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে। তাই যদি কেউ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কথা শুনে না যাবার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে 100 দিন পেরিয়ে গেলে তাঁরা তাঁদের নাগরিকত্ব হারাবেন। তিনি এও বলেন, নাগরিকত্ব পেতে গেলে কোন কাগজ পত্রের দরকার নেই। বরং যেদিন তাঁরা ভারতবর্ষে এসেছিলেন, সেদিনটি নির্দিষ্ট করে বলে দিলেই সমস্যা মিটে যাবে। দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, এই প্রক্রিয়া আগামী এক দু মাসের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দিলীপ ঘোষ এদিন দাবি করেছেন প্রায় এক কোটি মুসলমান অনুপ্রবেশকারী পশ্চিমবাংলায় আছেন। যাদের মধ্যে 70 লক্ষ ভোটার এবং ভোট দেয়। তাদের মধ্যে 50 লক্ষ ভোট দেয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রীর 50 লক্ষ ভোট আর আসবে না, তাই মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি প্রতিবাদ করছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসতে পারবেন না।

দিলীপ ঘোষ এ দিন বলেন, ‘আপনাদের দিন আসছে। ২১সালে আপনাদের সাফ করব আমরা।’ এদিন তীব্র ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, নিজেদের ইজ্জত না থাকায় অন্যেরটা বোঝা যায় না। প্রত্যেক দিনই পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। তৃণমূল বেঁচে থাকতেই প্রায় শেষের পথে চলেছে। যেভাবে সারদার টাকা মাটিতে মিশে গেছে, সেভাবে তৃণমূল দল মাটিতে মিশে যাবে বলে মনে করছেন তিনি। দিলীপ ঘোষ এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবে। এদিন সভার আগে কৃষ্ণনগর শহরে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি মহা মিছিল হয়। সেখানে দিলীপ বাবু বলেন, ‘গভর্নরকে টাইট দেওয়ার জন্য আপনি আইন করতে পারেন, নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য করতে পারেনি।’

সারাদেশ জুড়ে নাগরিকত্ব ইস‍্যুতে লড়াই চলছে তীব্রভাবে। হিন্দু, মুসলমান নির্বিশেষে এই লড়াই চালাচ্ছে। দেশের জনসাধারণের মধ‍্যে ইতিমধ‍্যে সংশধনী নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এইরকম বিভ্রান্তি ছড়ালেও তা এখনো কোনো সমাধানের রাস্তা দেখেনি। বরং পরস্পরবিরোধী তথ‍্য উঠে জটিলতা আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এনআরসি নিয়ে যেভাবে সারাদেশে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছে তাতে দেশের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্বাভাবিকভাবেই একটু কোণঠাসা। আপাতত এনআরসি নিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিতে চলেছে সেদিকে নজর রাখছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!