এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অচলাবস্থার অবসানে স্বস্তি সব মহলে, কে কি বললেন জেনে নিন

স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অচলাবস্থার অবসানে স্বস্তি সব মহলে, কে কি বললেন জেনে নিন

এনআরএস কান্ড এবং তার জেরে মেডিকেল কলেজে জুনিয়র চিকিৎসকদের লাগাতার ধর্মঘটে লাটে উঠেছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। সরকারের পক্ষ থেকে বারেই বারেই চিকিৎসকদের আলোচনা করার জন্য আবেদন করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন মুখ্যমন্ত্রী ইগো ধরে বসে আছেন, সেই ব্যাপারে রাজ্যের শাসকদলের উদ্দেশ্যে সুর চওড়া করা হয়েছিল।

অবশেষে গতকাল সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের আলোচনায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জট কাটল। আর স্বাস্থ্যে অচলাবস্থার অবসানে এখন স্বস্তি প্রকাশ করতে শুরু করেছেন সকলেই। শাসক দল থেকে বিরোধী দল, প্রায় প্রত্যেকেই এই ব্যাপারে তাদের সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

সূত্রের খবর, এদিন মুখ্যমন্ত্রী এবং আন্দোলনকারীদের বৈঠকের সুষ্ঠু সমাধান হওয়ায় রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী একটি প্রেস বিবৃতি দেন। অন্যদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় জট কাটবে কিনা, এই ব্যাপারে যখন তীব্র সংকটে পড়েছিল রাজ্যের শাসকদলের নেতা নেত্রীরা, ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রী এবং চিকিৎসকদের আলোচনায় সমাধান সূত্র বেরোনোয় এই ব্যাপারে স্বস্তি পেয়েছে তৃণমূল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব কথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ছোট ছোট ভাই বোনেরা যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তাদের বিষয়গুলো নির্ভীকভাবে তুলে ধরেছেন তা দেখে আমি খুশি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীও যেভাবে ধৈর্যের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের সমস্যা শুনেছেন ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ করেছেন তার নজির আর অন্য কোথাও নেই।

অন্যদিকে সমাধান সূত্র বেরোনোয় মুখ্যমন্ত্রীর উদার দৃষ্টিভঙ্গি কথা তুলে ধরে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে বিরোধীদের তরফেও এই ব্যাপার এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যদি আগেই আলোচনার দরজা খুলে আলোচনা চালানো হত, তাহলে অনেক আগেই সমস্যার সমাধান হয়ে যেত বলে জানিয়েছে তারা। এদিন এই প্রসঙ্গে বিধানসভার কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “আন্দোলনের চাপে মুখ্যমন্ত্রী মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন, তাতেই সময় নষ্ট হয়েছে।”

অন্যদিকে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “নিজের জেদ ধরে বসে থেকে রাজ্যের সাধারণ চিকিৎসাপ্রার্থী মানুষেরা বিপদে পড়েছিল। যদি মুখ্যমন্ত্রী প্রাথমিক পর্বেই তৎপর হতেন, তাহলে এত ভোগান্তি হত না।” সব মিলিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের সাথে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সমাধানসূত্র মেলায় খুশি প্রায় প্রত্যেকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!