নার্সদের গণইস্তফায় ভেঙে পড়তে পারে বাংলার স্বাস্থ্যব্যবস্থা! সমস্যার সমাধান করবে নবান্ন? কলকাতা রাজ্য May 17, 2020 করোনা মোকাবিলায় সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। যেখানে এই রোগের সংক্রমণের ভয়ে প্রত্যেকে গৃহবন্দী, সেখানে জীবন মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের নিরলস পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে বলছেন, এই স্বাস্থ্যকর্মীরা না থাকলে করোনা মোকাবিলা যে কী ভাবে সম্ভব হত, তা ঈশ্বর জানেন। তবে এবার করোনা সংকটের মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে গণইস্তফা দিয়ে নিজেদের রাজ্যে ফিরে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। যার ফলে তীব্র সঙ্কট তৈরি হয়েছে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে 300 জন নার্স তাদের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। নিজেদের রাজ্যে ইতিমধ্যেই তারা ফেরত যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। আর এর ফলেই বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অশনিসংকেত দেখতে শুরু করেছে একাংশ। এভাবে যদি স্বাস্থ্যকর্মী এবং নার্সেরা রাজ্য ছাড়তে শুরু করেন, তাহলে কিভাবে করোনা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই গোটা সমস্যার সমাধান চেয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া। যেখানে তারা আর্জি জানিয়ে বলেছেন যে, এভাবে যাতে নার্সেরা চলে না যান, তার বিষয়টা একবার মুখ্যমন্ত্রী নিজে দেখুন। শুধু তাই নয়, যে নার্সেরা রাজ্য ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তাদের নিজের রাজ্যে, সেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে তাদের যাতে ফিরিয়ে আনা যায়, তার জন্যেও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নবান্নের কাছে আর্জি জানিয়েছে এই সংস্থা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি সত্যিই একের পর এক নার্সেরা তাদের নিজেদের রাজ্যে ফিরতে শুরু করেন, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বড়সড় অশনিসংকেত দেখা দেবে। বর্তমানে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে করোনা বাড়তে শুরু করেছে, তাতে মোকাবিলা করার জন্য এই স্বাস্থ্য কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু তারা যেভাবে ইস্তফা দিয়ে নিজেদের রাজ্যে ফিরে যাচ্ছেন, তাতে রাজ্য সরকার যদি অবিলম্বে এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করে, তাহলে আসছে দিন অন্ধকার হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। এখন রাজ্য সরকারের কাছে এই ব্যাপারে চিঠি দেওয়ার পর নবান্ন কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -