এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফতোয়া নিয়ে মুখ খুললেন নুসরাত, বিস্ফোরক দাবি সংসদের

ফতোয়া নিয়ে মুখ খুললেন নুসরাত, বিস্ফোরক দাবি সংসদের


নুসরত জাহান রুহি জৈন। সদ‍্যবিবাহিতা এই সাংসদের শপথবাক‍্য পাঠের সময় পরনে ছিল বেগুনী পাড়ের সাদা শাড়ি, কপালে সিঁদুর, গলায় মঙ্গলসূত্র। এর পরেই বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের আক্রমণের মুখে পরেন বসিরহাটের সাংসদ। আক্রমণের পরেই সোশ‍্যাল মিডিয়ার মাধ‍্যমে নুসরত সেই কট্টরবাদী মৌলবীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই ইস‍্যুতে নুসরতের পাশে দাঁড়িয়েছেন সংসদের বিভিন্ন দলের একাধিক মহিলা সাংসদও।

শপথবাক‍্য পাঠের পর ‘দার-উল-উলুম’ এর মৌলবী মুফতি আসাদ ওয়াসিম বলছেন, “আমরা তদন্ত করে দেখেছি, নুসরত এক জৈনকে বিয়ে করেছেন৷ কিন্তু ইসলাম মতে, একজন মুসলিম মেয়ে শুধু মুসলিম ছেলেকেই বিয়ে করতে পারে৷ দ্বিতীয়ত, নুসরত এক জন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীরা ধর্মের শাসন মানেন না। যা ইচ্ছা তা-ই করেন। ও তো সংসদে গিয়েছে মঙ্গলসূত্র, সিঁদুর পরে৷ আমরা ওকে নিয়ে চর্চা করতে চাই না৷ শুধু বলতে চাইছি যে শরিয়তি আইন এর বিপক্ষে৷”

আরেক মৌলবী কারি তীব্র আক্রমণ করে জানান, “এরা সব বেলাগাম৷ দেশে আগুন জ্বালাতে চাইছে৷ ওদের কোনও ধর্ম সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই৷ ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতির কথা বলে৷ কিন্তু এবার সেসবের কিচ্ছু জানে না৷”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফতোয়ার মুখেও নিজের বিশ্বাসে অনড় তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান রুহি জৈন।নুসরত গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন একটি পোষ্ট করেন যে, ”কোনও ধর্মের কট্টরপন্থীদের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিলে বা প্রতিক্রিয়া জানালে সেটা শুধু ঘৃণা ও হিংসাই ছড়ায়। ইতিহাস তার সাক্ষী।”

পাশাপাশি তিনি ট‍্যুইটারের মাধ‍্যমে আরো একটি বার্তা দেন যে , ”সকলকে নিয়ে যে ভারত, আমি তার প্রতিনিধি।যে ভারত জাতপাত-ধর্মের সমস্ত বাধার ঊর্ধ্বে। সব ধর্মকেই আমি শ্রদ্ধা করি। এখনও আমি এক জন মুসলিম। এবং আমি কী পরব, তা নিয়ে কারও মন্তব্য করা উচিত নয়।”

নুসরতের এই প্রতিবাদের পরেই তাঁর পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় একের পর এক মহিলা সাংসদকে। তাঁর সহকর্মী ও যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী সমর্থন করে লেখেন, “আমরা ভারতীয় আর এটাই আমাদের একমাত্র পরিচয় হওয়া উচিত।”মৌলবীদের ফতোয়া জারির পরেই তার কড়া প্রতিবাদ জানান বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রাচী।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”যদি কোনও মুসলমান মহিলা সিঁদুর এবং মঙ্গলসূত্র পরেন তাকে ইমামরা বলেন, হারাম। বলতে খারাপ লাগছে, লভ জেহাদের নামে হিন্দু মেয়েদের আটকে রেখে তাদের বোরখা পরানো তাদের কাছে হারাম নয়!”

কট্টরবাদী ইমামদের পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে এইরাজ‍্যের রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী জানান, “এইটা পাকিস্তান নয়। এই দেশের নাম ভারতবর্ষ। এখানে কোনও ফতোয়া চলবে না।” মৌলবিদের ফতোয়া ও মহিলা সাংসদদের পাল্টা হুঁশিয়ারির পর এই বিতর্ক কতদূর পৌঁছয় সেদিকে নজর থাকছে সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!