প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজস্থানে কংগ্রেসের সমস্যা যেন কিছুতেই কমছে না। অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহে একেবারে নাজেহাল অবস্থা হাত শিবিরের। একদিকে নবীনের সঙ্গে প্রবীণ নেতৃত্বের মত পার্থক্য এবং অন্যদিকে কর্মীদের একাংশের দাবি অনুযায়ী নেতৃত্ব পদে বদল। স্বাভাবিকভাবেই এই দুই ঘটনায় এখন তীব্র অস্বস্তিতে হাত শিবির। জানা গেছে, দলের একাংশ কর্মী চাইছেন, এই সময় নেতৃত্ব পদে বদল আসুক। শুধু তাই নয়, নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি জানানোর পদ্ধতি শুরু হয়েছে বলে খবর। আর এই পরিস্থিতিতে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বহিস্কৃত কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় ঝাঁ। বস্তুত, শচীন পাইলটের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই সঞ্জয় ঝাঁ।

গত জুলাই মাসে দল বিরোধী কাজের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়। আর এরপরই টুইট করে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন সেই সঞ্জয়বাবু। তিনি লেখেন, “একাধিক বিধায়ক সহ 100 জন কংগ্রেস নেতা দলের কাজকর্মে বিরক্ত ছিলেন। তারা নেতৃত্বে বদল চেয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছিলেন। ওয়ার্কিং কমিটির নির্বাচনেও স্বচ্ছতা আনার দাবি জানিয়েছিলেন।” স্বাভাবিক ভাবেই সঞ্জয়বাবুর এই মন্তব্যে নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে পড়ে হাত শিবির। তবে সঞ্জয় ঝা যখন এই ধরনের কথা বলে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন, ঠিক তখনই বিদ্রোহী নেতা শচীন পাইলটের মান ভাঙিয়ে তার কথামত বেশকিছু পদে পরিবর্তন এনেছে কংগ্রেস।

জানা গেছে, রাজস্থানের সাধারণ সচিব পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। অবিনাশ পান্ডের জায়গায় আনা হয়েছে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেনকে। এছাড়াও তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে রয়েছেন আহমেদ প্যাটেল, অজয় মাকেন এবং কেসি ভেনুগোপাল। সব মিলিয়ে রাজস্থানের সমস্যা মেটাতে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এবার নতুন করে দায়িত্ব বন্টন করে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা শুরু হয়েছে। তবে কংগ্রেস এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে কতটা স্বস্তি জনক জায়গায় পৌঁছতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।