প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার কয়লা ব্লক বন্টন দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় বড়সড় বিপাকে পড়লেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিলীপ রায়। সূত্রের খবর, সোমবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক দিলীপবাবুর তিন বছরের জেলের সাজা ঘোষণা করেন। তবে শুধু জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়াই নয়, ক্যাস্ট্রন টেকনোলজিস লিমিটেড এবং ক্যাস্ট্রন মাইনিং লিমিটেড নামে দুটি কোম্পানিকে 60 লক্ষ এবং 10 লক্ষ টাকা করে জরিমানারও নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত।

তবে প্রথমে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেও, পরবর্তীতে এক লক্ষ টাকার বেল বন্ডের মাধ্যমে এই দিলীপ রায়কে জামিন দেওয়া হয়। জানা গেছে, আগামী 25 নভেম্বর পর্যন্ত সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে তার হাইকোর্টে যাওয়ার সময় রয়েছে। স্বভাবতই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ ওঠায় এখন তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা দেশজুড়ে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় কুড়ি বছর আগে অটলবিহারি বাজপেয়ীর আমলে ওড়িশা বিজু জনতা দলের তৎকালীন রাজ্যসভার সাংসদ দিলীপ রায় ছিলেন কয়লা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। আর সেই সময় অভিযোগ ওঠে যে, দিলীপবাবু ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলায় অবস্থিত ব্রহ্মডিহা কয়লা ব্লকটি বেআইনিভাবে ক্যাস্ট্রন টেকনোলজি লিমিটেডকে পাইয়ে দিয়েছেন। পরবর্তীতে 2017 সালে এই মামলাটি নয়াদিল্লির বিশেষ আদালতে গেলে গত 6 অক্টোবর সেই দিলীপ রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আর এবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের পক্ষ থেকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাজার গোষণা করা হল।

আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ হচ্ছে কয়লা। কিন্তু সেখানেও নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বেআইনিভাবে তা বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার অনেক প্রমান পাওয়া গিয়েছে। আর প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিলীপ রায় অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ পূরণ করবার জন্য আইন মেনে এই কাজ করেছেন। আর তাকে সাহায্য করেছেন দুই শীর্ষ আমলা। তাই তাদের প্রত্যেককেই এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হল। স্বভাবতই এই গোটা ঘটনায় এখন দেশের প্রাক্তন কয়লা দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর অস্বস্তি দ্বিগুণ ভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করল। সব মিলিয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের এই রায়ের পর তিনি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।