এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়ে এবার হুমকির মুখে খোদ হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা?

বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়ে এবার হুমকির মুখে খোদ হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ক্ষমতায় আসার পরেই বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কোনোভাবেই অবৈধ কাজের সঙ্গে যে যুক্ত থাকা যাবে না, তার ব্যাপারে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন এলাকায় এই বালি উত্তোলনকে কেন্দ্র করে অশান্তি হয়েছে। এবার অবৈধ বালি উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় হুমকির মুখে পড়তে হলো তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে। যে ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বীরভূম জেলা জুড়ে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণী নদীর একদিকে শ্রীরামপুর, ঝাউপাড়া সহ একাধিক গ্রাম রয়েছে। অন্যদিকে বাটিপানিটা, চামটিবাগান সহ অন্যান্য গ্রাম রয়েছে। প্রায় দশদিন ধরে ঝাউপাড়ার কাছে নদী বাঁধ থেকে জেসিবি দিয়ে অবৈধভাবে বালি তুলে ট্রাক্টরে পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ফলে বাঁধ ভেঙে যে কোনো সময় গ্রামে প্লাবন হতে পারে বলে আশঙ্কা করতে শুরু করেছিলেন বাসিন্দারা। আর এর পরেই এই বালি উত্তোলন বন্ধ করবার জন্য গ্রামের বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে বাউরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য কৈলাস লেট বিডিও অফিসে একটি অভিযোগ জানান।

এদিকে কোনোমতেই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ট্রাক্টর নামার রাস্তা বন্ধ করে দেন গ্রামবাসীরা। আর এর পরেই এই বালি মাফিয়াদের হুমকির মুখে পড়তে হয় তৃণমূলের সেই পঞ্চায়েত সদস্যকে। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়িয়ে অবৈধ কাজকে রোখার চেষ্টা করলেন তিনি, সেখানে তৃণমূলের এই নেতাকে কেন এইভাবে হুমকির মুখে পড়তে হবে! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে তৃণমূলের সেই পঞ্চায়েত সদস্য মাফিয়াদের হুমকির পরে গ্রামবাসীদের গোটা বিষয়টি জানাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। আর তারপরেই মাফিয়াদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হন তারা। এরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত পিয়ারুল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে খবর। যদিও বা এদিন আদালত থেকে জামিন নিয়ে মুক্ত হন সেই পিয়ারুল শেখ।

এদের এই প্রসঙ্গে বালি মাফিয়াদের হুমকির মুখে পড়া তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য কৈলাস লেট বলেন, “শুক্রবার সকালে আমি পরিবার নিয়ে বাইক চালিয়ে ডাক্তার-খানা যাচ্ছিলাম। চামটি বাগানের কাছে বালি মাফিয়ারা আমার পথ আটকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করার হুমকি দেয়। আমাকে জোর করে একটি বোলেরো গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। আমার চিৎকার শুনে স্থানীয় মানুষজন দৌড়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।” এদিকে গোটা ঘটনায় গ্রামবাসীদের পাশেই দাঁড়াতে দেখা গেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য বিপ্লব ওঝা বলেন, “পুলিশের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হয়েছে। যাতে কোনোমতেই ওই এলাকার নদী বাঁধ থেকে অবৈধ বালি তোলা না হয়। পুলিশ আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। সেই মত কাজ না হলে গ্রামবাসীর আন্দোলন করুক। আমাদের সমর্থন থাকবে।” অর্থাৎ অবৈধ বালি উত্তোলনের ঘটনা তৃণমূল যে কোনোভাবেই সমর্থন করবে না, তা কার্যত নিজেদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট করে দিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু যেভাবে এহেন অন্যায় কাজে প্রতিবাদ করার পর কার্যত বালি মাফিয়াদের হুমকির মুখে পড়তে হল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে, তা নিশ্চিত করেই সকলের মনে চিন্তা বাড়াচ্ছে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!