এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > অফিস খুললেও সচল নয় পরিবহন, ভোগান্তির মুখে যাত্রীরা!

অফিস খুললেও সচল নয় পরিবহন, ভোগান্তির মুখে যাত্রীরা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সম্প্রতি একগুচ্ছ বিধি-নিষেধ জারি করেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতার কথা জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। যেখানে 16 জুন থেকে পয়লা জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি করা হলেও, শপিংমল, হাট-বাজার খোলার সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি এবং বেসরকারি অফিস 25 শতাংশ কর্মী নিয়ে করা যাবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। তবে পরিবহন ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আসার পরেই তা আটকাতে সচেষ্ট হয়েছে রাজ্য সরকার।

যার কারণে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু 15 জুনের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়েছিলেন সকলে। আশা করা হয়েছিল, ধীরে ধীরে পরিবহন ব্যবস্থা সচল করা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। তবে সরকারি এবং বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। যেখানে 25 শতাংশ কর্মী নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে যেখানে পরিবহন ব্যবস্থা সচল নয়, সেখানে সরকারি এবং বেসরকারি কর্মচারীরা কিভাবে তাদের কর্মস্থলে পৌঁছাবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। আর বুধবার যার ফলে ব্যাপক অসুবিধার মুখে পড়লেন কর্মরত ব্যক্তিরা। বস্তুত, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার শপিং মল থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁ খুলতে শুরু করে‌। কিন্তু এই সমস্ত জায়গায় কর্মরত কর্মীরা তাদের কর্মস্থলে পৌঁছতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হন। বাস-ট্রেন, মেট্রো সমস্ত কিছুই বন্ধ।

যার ফলে ট্যাক্সি এবং ক্যাবের উপর ভরসা করতে হচ্ছে শপিং মল থেকে শুরু করে বড় বড় রেস্টুরেন্টের কর্মীদের। আর নিজেদের কর্মস্থলে যোগ দিতে গিয়ে হাতে থাকা টাকা প্রায় শেষ হওয়ার যোগার অনেকের। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর্মস্থলে পৌঁছতে হবে, আবার কর্মস্থলে পৌঁছতে ফেলে ট্যাক্সি মালিকদের ভাড়ার করাকরি, ফলে দুইদিক মিলিয়ে রীতিমত জেরবার বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিরা।

বুধবার সরকারি অফিস জামাইষষ্ঠীর কারণে বন্ধ থাকলেও, বেসরকারি অনেক অফিসের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে শপিং মল এবং হোটেলের কর্মচারীদের ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়তে দেখা গেল। শুধুমাত্র পরিবহন ব্যবস্থা সচল না হওয়ার কারণে নিজের কর্মস্থলে পৌঁছতে এই অর্থনৈতিক দুর্মূল্যের বাজারে প্রবল সমস্যার মুখে পড়তে হল তাদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বাইপাস সংলগ্ন এক রেস্তোরাঁর কর্মী বলেন, “আনোয়ার শাহ রোডের কাছ থেকে আসতে আমার খরচ হয়েছে 140 টাকা। অফিসে আসতে এত খরচ হলে বাড়িতে কতটুকু টাকা নিয়ে যাব! এমনিতেই তিন মাস ধরে ব্যবসা বন্ধ।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে পর্যটন সংস্থায় কর্মরত এক ব্যক্তি বলেন, “ট্যাক্সি এবং ক্যাব মিলিয়ে শুধু অফিস আসতেই 370 টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। ফেরার সময় কত খরচ হবে জানি না। সপ্তাহে দুদিন এভাবে অফিস করতে হলে সারা মাসের যাতায়াতের খরচ বেরিয়ে যাবে।”

অর্থাৎ এতদিন লকডাউনের কারণে গৃহবন্দি হয়ে থাকলেও কোনো রকমে দিন যাপন করছিলেন এই সমস্ত কর্মীরা। কিন্তু এবার তাদের কর্মক্ষেত্র খুলে দেওয়া হলেও, শুধুমাত্র পরিবহন ব্যবস্থার অভাব থাকার কারণে বিপুল টাকা খরচা হয়ে যাওয়ায় সংসার তারা কিভাবে গুজরান করবেন, এখন সেটাই অনেকের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাই সকলেই বলছেন, ধীরে ধীরে পরিবহন ব্যবস্থা সচল করা উচিত। বাস এবং ট্রেনের অভাব থাকার কারণে ক্যাব এবং ট্যাক্সি মালিকরা যারপরনাই ভাড়া নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে সঠিক পরিবহন অভাব কর্মক্ষেত্রে যাওয়া দিন গানা দিন খাওয়া কর্মীদের সারা মাসের রোজগার চলানোর সঞ্চয়েও হাতছানি দিচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!