২০১৯ সালে কেন্দ্রের মসনদ থেকে বিজেপিকে সরাতে অত্যন্ত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার স্থাপনের সময় চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে বিজেপির সুসম্পর্ক থাকলেও এখন তাঁর সাথে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের পর থেকেই নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতায় সর্বাগ্রে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে, কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডু তৃণমূল নেত্রীর প্রস্তাবিত বিরোধী মহাজোটে নাম লিখিয়েছেন। আর এই বিরোধী জোটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রবল আত্মবিশ্বাসী তিনি।

তবে, অনেকের ধারণা ছিল – অতীতের ‘বন্ধুত্ত্ব’ ঝালিয়ে নিয়ে হয়তো চন্দ্রবাবু নাইডু আবার কোন নতুন ফর্মুলায় এনডিএ শরিক হয়ে যাবেন। কিন্তু, সেসব সম্ভবনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে এদিন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে এসে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। তিনি বলেন, “মোদী একটি নেতিবাচক চরিত্র। তাঁর নেতৃত্বে চলা এই সরকার একটা বিপর্যয়”।

প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন যে, তিনি দেশের মানুষের চৌকিদার হিসেবে কাজ করতে চান। এদিন সেই প্রসঙ্গে মোদিকে কটাক্ষ করে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মোদি নিজেকে শক্তিশালী বলছেন। তবে তিনি আসলে কি করছেন! দেশের মানুষ শান্তিতে আজ ঘুমোতে পারছেন না”।

একইভাবে ইউপিএ জমানার পাশাপাশি এনডিএ সরকারও প্রতিহিংসাপরায়ণ ভাবে চলছে বলে তিনি মন্তব্য করেন চন্দ্রবাবু নাইডু। সব মিলিয়ে আসন্ন লোকসভার আগে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন টিডিপি সুপ্রিমো। একের পর এক জোট শরিক এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে – আর তারপরেই তীব্র আক্রমণের রাস্তায় হাঁটছে – যা লোকসভা নির্বাচনের আগে রীতিমত চিন্তা বাড়াবে গেরুয়া শিবিরের।